দেশে যেভাবে হিন্দুবাদী নেতা ও হিন্দুসংগঠনের সাথে জুড়ে থাকা মানুষের হত্যা করা হচ্ছে তাতে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ সংকটে পড়তে শুরু হয়েছে। কট্টরপন্থীদের উপদ্রব চরমে পৌঁছে গেছে ফলস্বরূপ জেহাদী গতিবিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে কমলেশ তেওয়ারীকে হত্যা করে দেওয়া হয়েছে। স্পষ্টবাদী হিন্দু নেতা হিসেবে পরিচিত এই নেতাকে সুরক্ষা প্রদান করতে সরকার অসমর্থ হয়েছে। জানিয়ে দি, পশ্চিমবঙ্গের কালিয়াচকে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা কমলেশ তেওয়ারীকে কেন্দ্র করেই ছিল। ইসলামের প্রবর্তক হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন বলে মুসলিমরা অভিযোগ তুলেছিল। যদিও আদালতে উনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।
কমলেশ তিওয়ারিকে ফাঁসি দেওয়ানোর জন্য দেশের মুসলিম সংগঠনগুলি উঠে পড়ে লেগেছিল। এক ইমাম, কমলেশ তেওয়ারীকে হত্যার জন্য ফতোয়া জারি করেছিল। এখন দুজন ব্যাক্তি হিন্দু সেজে কমলেশ তিওয়ারির অফিসে প্রবেশ করে এবং হত্যা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে জঙ্গিদের কায়দায় গলা কাটা হয় কমলেশ তেওয়ারীর। ভারতীয় জেহাদী গ্রুপ অল-হিন্দ-ব্রিগেড হত্যার দায়ভার স্বীকার করেছে বলে খবর সামনে এসেছে। গেরুয়া পোশাক পরিধান করে হিন্দু সেজে মিষ্টির বাক্স নিয়ে তিওয়ারির বাড়িতে আসে কট্টরপন্থীরা।
মুম্বাই হামলার সময় আতঙ্কবাদী আজমল কাসব যেভাবে হিন্দু সেজে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। এক্ষেত্রেও ঠিক সেভাবে গেরুয়া পোশাক পরিধান করে হিন্দু সেজেছিল জেহাদীরা। হিন্দু সমাজ পার্টির অফিসে ঢুকলে তাদের চাও খেতে দেওয়া হয়। মিষ্টির বাক্স এ ছিল বন্ধুক। কমলেশ তিওয়ারিকে সামনে পেয়ে মিষ্টির বাক্স থেকে বন্দুক বের করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে গুলি চালানোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে দেওয়া হয় এবং দেহের নানা অংশে কোপ মারা হয়। এরপর কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।