‘বিশ্বগুরু’ হিসাবে ভারতের উত্থান যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে হচ্ছে তারই আবার ইঙ্গিত পাওয়া গেল ফ্রান্সে। পৃথিবীতে শান্তি ও স্থায়িত্ব ফেরানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলো ভারত। ফ্রান্সকে একটি “শক্তিশালী এবং বিশ্বস্ত অংশীদার” বলে অভিহিত করে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে ভারত এই গ্রহকে শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং দৃঢ় করতে সব কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফ্রান্সের প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় দিবসে সামরিক কুচকাওয়াজেও যোগ দেন।
টুইটারে মোদি বলেন, “ভারত তার শতাব্দী প্রাচীন নীতি দ্বারা অনুপ্রাণিত। আমাদের গ্রহকে শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং দৃঢ় করতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয় একটি শক্তিশালী এবং বিশ্বস্ত অংশীদার হওয়ার জন্য ফ্রান্সের কাছে সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকবে সঙ্গী। বন্ধন আরও গভীর হোক!”
এর আগে, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে টুইট করেছিলেন, “…… আমরা ১৪ জুলাই প্যারেডে আমাদের সম্মানিত অতিথি হিসাবে ভারতকে স্বাগত জানাতে পেরে গর্বিত” .
এদিন প্যারিসের চ্যাম্পস-এলিসিস-এ উজ্জ্বল এবং রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশের নীচে ব্যাস্টিল ডে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছিল।চ্যাম্পস-এলিসিসে শোভাযাত্রা করার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় দল থেকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন গ্রহণ করেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ফার্স্ট লেডি ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ ছিলেন ব্যাস্টিল ডে মিলিটারি প্যারেডে অংশগ্রহণকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
ভারতীয় এবং ফরাসি উভয় সৈন্যই ট্রাম্পেট এবং ড্রাম নিয়ে মিছিল করে। সামরিক কুচকাওয়াজের আগে ম্যাক্রোঁ গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। চ্যাম্পস-এলিসিসকে ফরাসি পতাকার রঙে রঞ্জিত করা হয়েছিল।
এ বছর দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
এই বছর ব্যাস্টিল ডে প্যারেডে বিভিন্ন মার্চিং কন্টিনজেন্টে ৬৩০০ সৈন্য ছিল। এর মধ্যে ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি দলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেছিল পাঞ্জাব রেজিমেন্ট। রেজিমেন্টের সৈন্যরা উভয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। প্রথম যুদ্ধে ১৮টি ব্যাটেল এবং থিয়েটার অনারে ভূষিত হয়েছে।
পাঞ্জাব রেজিমেন্ট প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের নিউভ চ্যাপেলের কাছে একটি আক্রমণে অংশগ্রহণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রেজিমেন্টটি ১৬টি ব্যাটল অনার্স এবং ১৪টি থিয়েটার অনার্স জিতেছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ব্যাস্টিল ডে প্যারেড হল ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের বাবরি মসজিস ব্যাস্টিল কারাগারের পতনের বর্ষপূর্তিকে চিহ্নিত করে উদযাপন করা প্যারেড।