নাবালকিকে ধর্ষণের দায়ে পঞ্চাশ বছর বয়সের এক ব্যক্তিকে পনেরো বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানা এলাকার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার জেলা আদালতের আডিশনাল সেকেন্ড জর্জ স্পেশাল কোর্টের বিচারক ইন্দিবর ত্রিপাঠী ৮ জন সাক্ষীর পরিপেক্ষিতে দোষী ব্যক্তিকে পনেরো বছরের কারাদণ্ড এবং কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন, জানালেন স্পেশাল সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত। ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভক্তিনগর থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেন তাঁর নাবালিকা মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে পড়শি এক ব্যক্তি। অভিযোগ পেয়ে সেদিনই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ওই কিশোরীর পরিবার যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেই বাড়িতে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভাড়া থাকতেন। কিশোরীর মা পরিচারিকার কাজ করতে যেতেন সেই সুযোগে তাকে জোর করে ধর্ষণ করার পর ভয় দেখাতেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। নাবালিকা গর্ভবতী হতেই পরিবারের চাপে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকে জেল হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত।
স্পেশাল সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, “২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ওই নাবালিকা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। তদন্তকারী অফিসারের আবেদনে আদালত ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। সেই পরীক্ষা উঠে আসে বাচ্চাটা অভিযুক্তের। এ দিন ৮ জনের সাক্ষ্যতে ওই ব্যক্তিকে পনেরো বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ডিস্ট্রিক লিগাল অথরিটির তরফে ওই শিশুকন্যাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।