দক্ষিণের কালীঘাট বা যতীন দাস পার্ক। মধ্য কলকাতার এসপ্ল্যানেড, সেন্ট্রাল বা গিরিশ পার্ক। শহরের মেট্রো স্টেশনগুলিই এখন হয়ে উঠেছে ভবঘুরেদের আস্তানা! থাকা, খাওয়া, শোয়া, শিশুকে নিয়ে খেলা করা। সবই চলছে মাসের পর মাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট ভাইরাল হতেই অবশেষে নড়চড়ে বসল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
সালটা ১৯৮৪। দেশের প্রথম মেট্রো চালু হয় কলকাতাতেই। কালে কালে সেই মেট্রো হয়ে উঠেছে শহরে লাইফলাইন। তিলোত্তমার গর্বও বটে। বাইরে যেমন থাকুনই না কেন, মেট্রো স্টেশনে ঢোকার পর সতর্ক হয়ে যান শহরবাসী। থুথু কিংবা পিনের পিক ফেলতে দেখা যায় না কাউকেও। ফলে স্টেশনও থাকে একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
কিন্তু বাইরেটা? স্টেশনে ঢোকার সিঁড়িতে দিনভর বসে থাকেন ভবঘুরেরা। সেই সকালে যখন মেট্রো চালু হয়, তখন থেকে রাতে শেষ মেট্রো যাওয়া পর্যন্ত। রীতিমতো সংসার পাতেন তাঁরা।
এদিকে ভবঘুরের দৌরাত্ম্যে বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও বা ছবিও পোস্ট করেন অনেকেই। সম্প্রতি তেমনই কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ? মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র স্পষ্টত জানালেন, এ জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। ভরঘুরদের সরাতে পুলিসের সাহায্য নেওয়া হবে।