দিল্লির যমুনা খাদার অঞ্চল থেকে দিল্লি পুলিস প্ল্যাস্টিক ব্যাগে ভরা কুচি কুচি করে কাটা দেহখণ্ড উদ্ধার করেছে। পুলিস খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত আরম্ভ করেছে। এই ঘটনা শ্রদ্ধা ওয়ালকর কাণ্ডের ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে। যে-ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ডিসিপি নর্থ সাগর সিং কালসি বলেছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে যে দেহটি উদ্ধার হয়েছে সেটি ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী কোনও ব্যক্তির!
দুটি কালো পলিথিন পাওয়া গিয়েছে। একটি পলিথিনের ভিতের মুণ্ডু ছিল, অন্যটিতে ছিল দেহের বাকি অংশ। মৃতের মুণ্ডুতে লম্বা চুল থাকায় আপাতত মনে করা হচ্ছে, এটি কোনও মহিলার দেহ। তবে এখনও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। তদন্ত শুরুও হয়েছে। স্থানীয় মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার একটা দিশা পেতে চাইছে পুলিস।
ফরেন্সিক টিমও সারাক্ষণ তদন্ত সংক্রান্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে। অর্থ ফরেন্সিক টিম মৃতের লিঙ্গ নির্ধারণ করবে। এবং আরও আনুষঙ্গিক সব তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে।
পাশাপাশি অন্য একটি খুনের ঘটনাতেও পুলিসের ভুরু কুঁচকে উঠছে। যমুনা খাদার অঞ্চল থেকে যে দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই ব্যক্তির খুনের সঙ্গে কি কোনও সংযোগ রয়েছে এই খুনটির? পরের ঘটনায় খুন হয়েছেন যিনি তাঁকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তিনি বছর কুড়ির এক তরুণ, নাম রাজ কুমার। আসফাক ও মিরাজ নামের দুই ব্যক্তি রাজ কুমারকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেছে। পুলিস জানতে পেরেছে, রাজ কুমার এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। আর, যে দুই অভিযুক্ত তাঁকে খুন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা দুজনেই রাজ কুমারের প্রেমিকার আত্মীয়। রাজ কুমার আদতে বিহারের বাসিন্দা হলেও তিনি থাকতেন উত্তর দিল্লিতে।
২০২২ সালে বছর আঠাশের শ্রদ্ধা ওয়ালকর কাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। তাঁর লিভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে। পরে তা রেফ্রিজারেটরে রাখে।