অল ইজ নট ওয়েল। রাজ্যে স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্ট নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের। বেশ কিছু ক্ষেত্রে জেলাভিত্তিক নিরাপত্তা রিপোর্ট নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কমিশন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আরও নিখুঁত তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েই ফিরলেন উপ-মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার। অর্থাৎ স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি হতে আরও সময় লাগবে।
একদিন বাড়তি সময় পেয়েও স্পর্শকাতর তালিকা নিয়ে জট কাটল না। স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারল না কমিশন। বরং জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে বলেই সাফ জানালেন, উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বৈঠকের মধ্যেই তিনি বলেন, কমিশনে জমা পড়া রিপোর্ট সংশয়ের বাইরে নয়। অল ইজ নট ওয়েল ৷
জেলা প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্টে কিছু ক্ষেত্রে অসংগতি থাকায় নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু সেই রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন থাকায় এখনই স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল না কমিশন। বরং জানানো হল, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা পর্যালোচনা করতে হবে ৷ নিয়মিত সেই রিপোর্ট কমিশনে পাঠাতে হবে ৷ কমিশনও এনিয়ে নজরদারি চালাবে ৷ তারপরই স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷
জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারি নিয়ে কমিশনের ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ কর্তারা। সূত্রের খবর, এনিয়ে এডিজি আইনশৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তার জবাবদিহি চান উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
রাজ্যের সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা দাবি জানিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। কয়েকটি জেলার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো নয়, তা নিয়ে নিশ্চিত কমিশনও। বৈঠকের ফাঁকে সেই প্রশ্ন তোলেন উপ-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। জানতে চান, রাজনৈতিক দলগুলো নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে কেন ? অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজই বা কীভাবে হবে ?
নিরাপত্তাজনিত কারণে কমিশনের নজরে রয়েছে পাঁচ থেকে ছয়টি জেলা। জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও উত্তর দিনাজপুর ৷