অবশেষে নিখোঁজ হেলিকপ্টারের খোঁজ মিলল। মাউন্ট এভারেস্টের কাছে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ মিলেছে। তিন ঘণ্টা খোঁজ খবরের পরে হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। মেক্সিকোর পাঁচ নাগরিক ওই হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন। জানা গিয়েছে টেক-অফের কিছু পরেই সলুকুম্ভের পার্বত্য অঞ্চলের লামজুরা এলাকায় ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি।
জানা গিয়েছে, সলুকুম্ভ থেকে কাঠমান্ডু উড়ে যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটি। কিন্তু মাঝ-আকাশেই উধাও হয় সেটি! পাঁচ বিদেশি নাগরিক-সহ মোট ছজন ছিলেন উড়ানটিতে। হঠাৎই এর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এর। ইনফরমেশন অফিসার জ্ঞানেন্দ্র ভুল এই তথ্য জানিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারে কল সাইন ৯এনএমভি রাডার-সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১২ নাগাদ।
হেলিকপ্টারটি মানাঙ্গ এয়ার-এর উড়ান এটি। সলুকুম্ভের সুরকি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল উড়ানটি। হারিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য সেটি যোগাযোগবিচ্ছিন্ন ছিল। ঘটনার পরে নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি ট্যুইট করে জানিয়েছিল, কাঠমান্ডু থেকে একটি অল্টিটিউড এয়ার হেলিকপ্টার দ্রুত হারিয়ে যাওয়া হেলিকপ্টারটির সন্ধানে গিয়েছিল।
ছ’মাসে আগে এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি উড়ান ভেঙে পড়েছিল নেপালে। অন্ততপক্ষে ৭১ জন মারা গিয়েছিলেন সেই দুর্ঘটনায়। এর মধ্যে ২৫ মহিলা, ৩ শিশু ও বেশ কয়েকজন নবজাতকও ছিল। মৃতের তালিকায় ছিলেন ৫ ভারতীয়ও। প্লেনটি ল্যান্ড করার আগে একটি খাদে পড়ে গিয়েছিল। গত ৩ দশকের মধ্যে এটাই ছিল নেপালের সব চেয়ে মর্মান্তিক উড়ান দুর্ঘটনা।