কড়া নিরাপত্তার চাদরে হুগলির গণনাকেন্দ্র মুড়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গণনাকেন্দ্রের সামনে বাঙ্কার বানিয়ে চলছে পাহারা। ঢোকা, বেরোনোর মুখে বাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে প্রত্যেককে। ছাড় নেই কারও।
ভোটের দিনের মতো যাতে গণনাতেও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ না ওঠে, সে জন্য শুরু থেকেই সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাঁধে ভার নিরাপত্তা প্রদানের।
হুগলি জেলার ১৮টি গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের ঠিক সামনে, যুদ্ধক্ষেত্রে মতো তৈরি করা হয়েছে বাঙ্কার। গণনার হলগুলির সামনেও অত্যাধুনিক রাইফেল নিয়ে দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। পঞ্চায়েত ভোটগণনার ক্ষেত্রে যাকে বিরল বলেই মনে করছেন জেলার মানুষ। তেমনই নিরাপত্তার আঁটসাঁট ছবি ধরা পড় পোলবা-দাদপুরের আলিনগর স্কুলে। সেখানে লাইট মেশিনগান নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন বাহিনীর জওয়ানরা। আশপাশে সামান্যতম জটলা দেখলেও ছুটে যাচ্ছেন তাঁরা। লাঠি উঁচিয়ে হঠিয়ে দিচ্ছেন জমায়েত। কোথাও অবাধ্য জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু লাঠিচার্জও করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
যদিও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবরও আসছে। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে গণনা হবে। রাজ্যে মোট পঞ্চায়েত আসন ৬৩,২২৯। পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৯,৭৩০। জেলা পরিষদ আসন ৯২৮। তবে ৯১২টি আসনে গণনা হবে। কারণ, ১৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল।