বিজেপি প্রার্থীকে মারধর সহ জেলাজুড়ে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় উত্তপ্ত বাঁকুড়া। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, ভোট
শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বেলা তিনটে পর্যন্ত ৫২শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জেলা নির্বাচন আধিকারিক সূত্রে জানানো হয়েছে।
আজ সকালে ভোট গ্ৰহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ, কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই। আজ সকালে সোনামুখীর ধূলাই পঞ্চায়েতের আমশোল বুথে ভোটারদের লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা বেধে যায়। তা ক্রমে মারামারিতে পরিণত হয়। দু’পক্ষের ১৬জন গুরুতর আহত হন। তাদের সোনামুখী গ্ৰামীন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খাতড়ার রায়দীপ প্রাইমারি স্কুলের বুথে বুথদখল ও
ছাপ্পার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।ভোট দিতে বাধা পেয়ে ভোটদাতাদের সাথে মারামারি শুরু হয়। এই ঘটনায় ১২জন আহত হয়েছেন।
সারেঙ্গার ২২নং পাথরা বুথে বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কর্মীরা এই ঘটনায় যুক্ত বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়াও বড়জোড়া, মেজিয়া তালডাংরায় অবাধে রিগিং হয়েছে বলে অভিযোগ স্হানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।
উল্লেখ্য, মেজিয়াতে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ স্হানীয় শাসক দলের নেতাদের মদতে ভোট দেওয়ার আগেই ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের দোষেই আজ ১৫টি প্রাণ চলে গেল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তের হোলি পুরো বাংলাজুড়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে, তার ঠিকমত ব্যবহার করা হয়নি। স্হানীয় পুলিশ তাদের জায়গা দেখিয়ে
দেয়নি। তিনি আরও বলেন, এতদিন মিড ডে মিলের টাকায় নির্বাচন হয়েছে, এবার শালী প্রজেক্টের টাকায় ভোট হচ্ছে।