পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট কর্মীদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ পি এম পোষণের টাকা থেকে। এই অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। ফলে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে চিঠি দিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ মারফত রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো নথিতে দেখা যাচ্ছে একটি ডোরম্যাট অ্যাকাউন্ট নির্বাচনের জন্য টাকা ট্রান্সফারের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার মিড ডে মিল অ্যাকাউন্টের কিছু তথ্য তাদের নজরে এসেছে। সেই তথ্য দেখেই তারা বুঝেছেন মিডডে মিলে টাকা ভোটের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ বিভিন্ন সময়ে ওই অ্যাকাউন্টে পিএম পোষণ তহবিলের হিসেবে গরমিল দেখা গেছে, যার কোনও ব্যাখ্যা নেই হোয়াটসঅ্যাপ মারফত রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো নথিতে।
দেখা যাচ্ছে একটি ডোরমেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত হয়েছে নির্বাচনের জন্য টাকা ট্রান্সফারের কাজে। উদাহরণ দিয়ে কেন্দ্র বলেছে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল মিড ডে মিলের তহবিলের সমস্ত অর্থ ব্যয়ের জন্য একটি সিঙ্গেল নোডাল এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছিল, ওই এজেন্সি তহবিলের অব্যবহৃত অর্থ একটি সিঙ্গেল নোডাল অ্যাকাউন্টে জমা দেবে। সেই অ্যাকাউন্টের তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০২৩ সালের ৩১ শে মার্চে ওই অ্যাকাউন্টে ১৫৪২.১৭ কোটি টাকা রয়েছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে এই পর্যন্ত সরকারি অছি থেকে ৩৮৭.৩৫কোটি টাকা ঐ অ্যাককাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। অথচ ৪ জুলাইয়ে ওই অ্যাকাউন্টের তথ্যে দেখা গিয়েছে এখন ওই অ্যকাউন্টে ৪১৭৪.২৮কোটি টাকা রয়েছে।
কেন্দ্র জানতে চেয়েছে, এটা কি করে সম্ভব? কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে শুধু একটি জেলার ক্ষেত্রে যদি এমন হয়ে থাকে, তবে বাকি জেলাগুলির তথ্য খতিয়ে দেখলে আরো বড় গড়মিল পাওয়া যেতে পারে। এই মর্মে রাজ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে মিড ডে মিলের তহবিলের হিসাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে জানিয়েছে কোনওরকম গরমিল দেখলে তা যেন অবিলম্বে তাদের জানানো হয়।