গ্রেফতার হওয়া ফরাসি পুলিশের পরিবারের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং করছে ফরাসিরা

ফ্রান্সে নাহেল এম. কে গুলি করে হত্যা করা পুলিশ সদস্যের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর পরিবারের জন্য অর্থ সংগ্রহের ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ফরাসিরা। বিশ্বব্যাপী জেহাদী ও বামপন্থী জোটের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের মতো ফরাসিরাও যে জেগে উঠেছে তারই প্রমান পাওয়া যায় এই ক্রাউড ফান্ডিং এ।

মঙ্গলবার পর্যন্ত এই তহবিল সংগ্রহ অভিযানে মোট ১.৪৭ মিলিয়ন ইউরো ( ভারতীয় অর্থে ১২ কোটিরও বেশী ) সংগ্রহ হয়েছে। ওই ছোট্ট দেশটাতেই মোট ৭২০০০ জন ডোনেশন দিয়েছে পুলিশটি পরিবারকে সাহায্যের জন্যে।

এদিকে ফ্রান্সের ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসকে সামলাতে প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন পার্লামেন্টে দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পক্ষে থাকেন। দাঙ্গাবাজদের শাস্তি দেওয়ার ও নাবালক দাঙ্গাবাজদের বাবামায়ের সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়েও মতামত জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ৩০২ টি শহরের মেয়রদের সাথে একটি সাড়ে তিন ঘন্টার বৈঠকের আয়োজন করে। মেয়রদের কাছ থেকে বিভিন্ন মতামত শোনার পরে, তিনি বলেছিলেন যে প্রশাসনকে নরম হতে হয়েছিল কারণ যা ঘটেছিল তা কিভাবে সামাল দেওয়া যায় সে বিষয়ে কোনও ঐক্যমত হয়নি। পুলিশ মাত্র ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

অনুমান করা হচ্ছে যে দাঙ্গার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি মেরামতের ব্যয় ১ বিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে যাবে। ২০০ টি দোকান লুট করা হয়েছে‚ ৩০০ টি ব্যাঙ্ক ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়াও ৫০০০ এর বেশী গাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে‚ অসংখ্য শপিং মল লুঠ করা হয়েছে এবং টাউন হল, স্কুল এবং রাষ্ট্রের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্পত্তিগুলির উপর তীব্র আক্রমণ চালানো হয়েছে।

ফরাসি নিউজ বুলেটিনগুলিও পুলিশ অফিসারের জন্য ক্রাউডফান্ডিং ইস্যুতে ব্যাপকভাবে ফোকাস করেছিল। ফলে বিষয়টি আরো তাড়াতাড়ি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পরে। পুলিশ হেফাজতে থাকা অফিসারের পক্ষে তহবিল সংগ্রহের জন্যে GoFundMe প্ল্যাটফর্মে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল„উদ্যোগ নিয়েছিলেন দক্ষিনপন্থী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জিন মেসিহা।
এই পুলিশ অফিসারের গ্রেফতার কলঙ্কজনক বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ফ্রান্সের এই ঘটনা যে ফ্রান্স তথা সারা পৃথিবীর জেহাদ বিরোধী সংগ্রামকে আরো শক্তিশালী করবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.