ভারতের অর্থনীতির মন্দগতি নিয়ে যখন নানা মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, তখনই খুশির খবর শোনাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চরম দারিদ্র দূর করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে ভারত। পরিবেশ দূষণ রোধ করার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে বলেছে, গত ১৫ বছরে সাত শতাংশের বেশি বিকাশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পেরেছে ভারত। ১৯৯০ সালের পর থেকে সেদেশে দারিদ্র কমে গিয়েছে অর্ধেক। বিশ্ব ব্যাঙ্কের আশা, আর এক দশকের মধ্যে ভারত চরম দারিদ্র পুরোপুরি দূর করতে পারবে। অর্থনীতির বিকাশের ধারাও থাকবে অব্যাহত।
একইসঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আগামী দিনে ভারতের অর্থনীতিকে বেশ কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। ভারতের জনসংখ্যা যথেষ্ট বেশি। সেদেশে সম্পদের উৎসগুলিকে যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। কারখানায় উৎপাদন বাড়াতে হলে শহরাঞ্চলে আরও বেশি জমি লাগবে। গ্রামাঞ্চলে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের পরামর্শ, ভারত জলসম্পদ সংরক্ষণে গুরুত্ব দিক। ভারতের ২৩ কোটি মানুষ যথাযথ বিদ্যুৎ পান না। বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন করা দরকার। চেষ্টা করতে হবে যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় দূষণ কম হয়। সর্বোপরি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ভারতে আরও বিনিয়োগ করা দরকার। তাছাড়া আরও চাকরির সুযোগও সৃষ্টি করতে হবে।
ভারতে প্রতি বছর ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ কাজের বাজারে প্রবেশ করেন। কিন্তু বছরে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয় ৩০ লক্ষ। দেশে যেভাবে মহিলা কর্মীদের অনুপাত কমছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
নির্দিষ্ট হিসাব দিয়ে ওই সংস্থা বলেছে, ভারতে অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে কর্মরতদের মধ্যে মাত্র ২৭ শতাংশ মহিলা। যদিও শিক্ষার ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে বৈষম্য কমে আসছে।
ভারতের সরকারি সংস্থাগুলি সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাদের আধুনিকীকরণ করতে হবে। না হলে মধ্য আয়ের মানুষজনের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রাখা যাবে না।