ভারত-লেবানন (India vs Lebanon) রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনাল ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়েছে টাইব্রেকারে। সুনীল ছেত্রীর ব্ল্যু টাইগার্স শ্যুটআউটে, ৪-২ গোলে লেবানিজদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করেছে কুয়েতের বিরুদ্ধে। ফের একবার শোস্টপার হয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন দেশের এক নম্বর গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু (Gurpreet Singh Sandhu)। আগামী মঙ্গলবার কান্তিরাভায় কাপ যুদ্ধের মেগাফাইনাল। কুয়েতের বিরুদ্ধে নামবে টিম ইন্ডিয়া। আর তার আগে দলের জন্য আবেগি ট্যুইট করলেন ভারতীয় দলের কোচ।
রবিবার স্টিমাচ ট্যুইটারে লেখেন, ‘এই দলের সকলের জন্য়, আমি যে ঠিক কত’টা গর্বিত, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। প্লেয়ার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ। না বললেও, সকলেই প্রতিবার এগিয়ে এসেছে। আমরা বুক ফুলিয়ে মাঠে নামি, দেখি না উল্টোদিকে কোন দল আছে। এটা সবে শুরু। অনেকটা পথ যেতে হবে। তবে সবার আগে আমরা সাফ কাপ হাতে তুলতে চাই দু’দিনের মধ্যে।’ ভুবনেশ্বরে আন্তঃমহাদেশীয় কাপ জিতেই বেঙ্গালুরুতে সাফ অভিযান শুরু করেছে ব্ল্যু টাইগার্স। এবার সাফ জেতাই লক্ষ্য সুনীলদের। টানা ন’বার সাফ ফাইনালে ভারত। বিগত আট বছরে পাঁচবার এই ট্রফি জিতেছে সুনীল অ্যান্ড কোং। সেমিফাইনালের আগেই ভারত বড় ধাক্কা খেয়েছে। দুই ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন স্টিমাচকে। সঙ্গে দিতে হয়েছে বিশাল অঙ্কের জরিমানাও। সেমিফাইনালে স্টিমাচ বেঞ্চে ছিলেন না। ফাইনালেও টেকনিকাল এরিয়ায় পাওয়া যাবে না সুনীলদের হেডস্যারকে।
গত মে মাসে এএফসি এশিয়ান কাপের ড্র সামনে চলে এসেছে। ভারত রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যাকে ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ বললেও একেবারেই ভুল হবে না। সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধু ও সন্দেশ জিঙ্ঘানদের লড়াই হতে চলেছে অত্যন্ত কঠিন। এশিয়ান ফুটবলের সব মহাশক্তিধর দলগুলির বিরুদ্ধে খেলতে হবে ভারতকে। সুনীলদের রাখা হয়েছে সিরিয়া, উজবেকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার মতো তিন দুরন্ত দলের সঙ্গে। এএফসি এশিয়ান কাপই হতে চলেছে ভারতের অগ্নিপরীক্ষা। এশিয়ান কাপে ভারত যাদের বিরুদ্ধে খেলব, তাদের বিরুদ্ধে ভারতের রেকর্ড একেবারেই ভালো নয়। ২০১৯ সালে আন্তঃমহাদেশীয় কাপে ভারত ১-১ ড্র করেছিল সিরিয়ার বিরুদ্ধে। উজবেকিস্তানকে কখনও হারায়নি ভারত। শেষবার ১৯৯৯ সালে এশিয়া কাপে দেখা হয়েছিল ভারত-উজবেকিস্তানের। ৩-২ ব্যবধানে ভারত হেরেছিল। অস্ট্রেলিয়া ৪-০ গোলের মালা পরিয়েছিল ভারতকে। শেষবার ফুটবলে ইন্দো-অজি মহারণ হয়েছিল ২০১১ সালের এশিয়ান কাপে।২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাতারে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হবে। ভারত এর আগে ১৯৬৪, ১৯৮৪, ২০১১ এবং ২০১৯ সালে অংশ নিয়েছিল। ১৯৬৪ সালে প্রথমবার খেলতে নেমে রানার্স হয় ভারত। তবে ২০১৯ সালে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় ব্ল্যু টাইগার্সদের।