যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে প্রথম দল হিসাবে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পেল শ্রীলঙ্কা। সুপার সিক্স পর্বে জ়িম্বাবোয়েকে হারানোর পরে সরাসরি মূলপর্বে খেলার সুযোগ এশিয়া চ্যাম্পিয়নদের। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে দু’টি দল মূলপর্বে খেলবে। তার মধ্যে একটি দল নিশ্চিত হয়ে গেল।
যোগ্যতা অর্জনের গ্রুপ পর্বে চার পয়েন্ট নিয়ে যে দু’টি দল সুপার সিক্সে উঠেছিল তারা হল শ্রীলঙ্কা ও জ়িম্বাবোয়ে। সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচও জেতে এই দু’দল। অর্থাৎ, রবিবার শ্রীলঙ্কা ও জ়িম্বাবোয়ের মধ্যে যে দল জিতত সেই দলই সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিত। জ়িম্বাবোয়ের বুলাওয়াওয়ে জ়িম্বাবোয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ভারতের টিকিট কেটে ফেলল শ্রীলঙ্কা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঘরের মাঠে সমস্যায় পড়ে জ়িম্বাবোয়ে। দলের টপ অর্ডার রান পায়নি। এক মাত্র ভাল খেলেন সিন উইলিয়ামস। অর্ধশতরান করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন সিকন্দর রাজা। জ়িম্বাবোয়ের এই দুই ব্যাটার দলকে কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান। ৫৬ রান করে আউট হন উইলিয়ামস। রাজা করেন ৩১ রান। তাঁরা আউট হওয়ার পরে বাকিরা তেমন রান করতে পারেননি। ফলে ৩২.২ ওভারে ১৬৫ রানে অল আউট হয়ে যায় জ়িম্বাবোয়ে। শ্রীলঙ্কার হয়ে মাহেশ থিকশানা ৪, দিলশান মদুশঙ্ক ৩, মাথিশা পাথিরানা ২ ও দাসুন শনকা ১ উইকেট নেন।
বোলাররা শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপের মূলপর্বের দিকে এক পা ঠেলে দিয়েছিলেন। বাকি কাজটা করে দিলেন পাথুম নিশঙ্ক। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারের মধ্যে ১০৩ রানের জুটি হয়। সেখানেই জ়িম্বাবোয়ে হেরে যায়। দিমুথ করুণারত্নে ৩০ রান করে আউট হলেও নিশঙ্ক রান করতে থাকেন। তাঁকে সঙ্গ দেন কুশল মেন্ডিস। শেষ পর্যন্ত ৩৩.১ ওভারে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। চার মেরে দলকে জেতান নিশঙ্ক। সেই সঙ্গে নিজের শতরানও করেন তিনি। ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন নিশঙ্ক। মেন্ডিস অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।
শ্রীলঙ্কার পরে দ্বিতীয় দেশ হিসাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে যাওয়ার সুযোগ সব থেকে বেশি জ়িম্বাবোয়ের। নিজেদের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে জ়িম্বাবোয়ে। সেই ম্যাচ জিতলেই বিশ্বকাপের মূলপর্বে চলে যাবেন সিকন্দর রাজারা।