পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হলো একসময়ের মাওবাদী অধ্যুসিত বেলপাহাড়িতে। পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে “নেতাদের মাথা চাই” নিচে লেখা রয়েছে মাওবাদী।
শনিবার সকালে বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত শিমুলপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩টি জায়গা থেকে একাধিক মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়। ঠাকুরানপাহাড়ি, ওদলচুয়া এবং ওদোলচুয়া থেকে ঢাঙ্গীকুসুম যাওয়ার কালভার্টের উপর মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশের দাবি মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার গুলি ভুয়ো, মাওবাদীদের নয়।
বেলপাহাড়ির এসডিপিও উত্তম গড়াইন বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে এইগুলি ভুয়ো মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্ট।” প্রসঙ্গত, গত জুন মাসের ২০ তারিখ মঙ্গলবার সকালে জামবনী থানার অন্তর্গত চিল্কিগড় কর্নক দুর্গা মন্দিরে ঢোকার মুখে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে লাল কালিতে লেখা একধিক মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। জামবনী থানার পুলিশ পোস্টারগুলি উদ্ধার করে ছিল। পোস্টারগুলিতে লেখা ছিল “আমরা আছি। আবার জঙ্গলমহলে টিএমসির রক্ত ঝড়বে। যেভাবে টিএমসির সরকার আনা হয়েছিল সেই ভাবেই বিদায় দিতে হবে।”
সিপিআই মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার গুলিতে একাধিক দাবিও লেখা ছিল । যেমন, ইন্দিরা আবাস যোগ্য জনগণ পাচ্ছে না, কেন মুখ্যমন্ত্রী জবাব চাই? ফেক এস টি সার্টিফিকেট প্রদান অবিলম্বে সরকারকে বন্ধ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা সত্ত্বেও এখনো নাই কে ভাতা দেওয়া হয়নি কেন মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাই? লক্ষ্মীর ভান্ডারের ৫০০ টাকা দিয়ে জনগণকে ভোলাবেন না। দিদিমণি আমরা সন্তানদের চাকরি চাই।
এছাড়া ২০২২ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে জঙ্গলমহল জুড়ে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পুলিশ ৩০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল। তারপরেই জেলা জুড়ে আর কোনও মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ফের মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।