উত্তরপ্রদেশে সাতসকালে এনকাউন্টারে মৃত্যু হল এক দুষ্কৃতীর। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা এবং ডাকাতির একাধিক অভিযোগ ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
দুষ্কৃতীর নাম মহম্মদ গুফরান। উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলায় মঙ্গলবার সকালে তাঁর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। গুফরান কোথায় গা ঢাকা দিয়ে আছেন, জানতে পেরে গিয়েছিল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কৌশাম্বীর সমদা সুগার মিলের কাছে সেই ডেরায় হানা দিয়েই মেলে সাফল্য। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশকে দেখে গুফরান পালানোর চেষ্টা করেন। বাইকে চড়ে তিনি পালাচ্ছিলেন বলে খবর। পুলিশ তাঁকে ঘিরে ফেলে। গুফরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ভোর ৫টা নাগাদ এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাস্থল থেকে গুফরানের বাইক এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গুফরানের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ১৩টি মামলা ছিল। একাধিক খুন, খুনের চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া, প্রতাপগড় এবং সুলতানপুরের ডাকাতিতেও তাঁর নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছিল। গুফরানের এনকাউন্টার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
কৌশাম্বীর এসপি ব্রিজেশ শ্রীবস্তব জানিয়েছেন, গুফরানের মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তাঁর সন্ধান দিতে পারলে বা তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলে ওই পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পুলিশ। গুলিবিদ্ধ গুফরানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর থেকে রাজ্যটিতে প্রায় ১১ হাজার এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। তাতে মোট ১৮৫ জন দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে।