জলপাইগুড়ির মৃত ভট্টাচার্য দম্পতির বাড়িতে এলেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার (আইপিএস) কালিয়াপ্পন জয়রমন। মৃত অপর্ণা ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্যের একমাত্র কন্যা তানিয়া ভট্টাচার্যকে নিয়ে ঘুরে দেখছেন ঘটনাস্থল ও বাড়ি। নমুনা সংগ্রহের জন্য তারা ঘটনারস্থলে এসেছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার কালিয়াপ্পন জয়রমন।
১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডা পাড়া রোডে দম্পতি প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্না ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। মৃতের ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক পাতার সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চারজনের নাম উঠে আসে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, এছাড়া সৈকত ঘনিষ্ঠ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, মনোময় সরকার ও সোনালী বিশ্বাস।
এদিকে মৃত সুবোধের দিদি ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় থানায় অভিযোগ করেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্তদের প্রথমে গ্রেফতার করেননি। পরে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশে সৈকত বাদে সন্দীপ ও সোনালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে মনোময় জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এদিকে মূল অভিযুক্ত সৈকতের আগাম জামিন হাইকোর্টে নাকচ হওয়ার পর থেকে সে অধরা। হাইকোর্টের নির্দেশে দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় আইপিএস কালিয়াপ্পন জয়রমনকে। সোমবার কলকাতা থেকে দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের জন্য দ্বিতীয়বার জলপাইগুড়িতে আসেন কালিয়াপ্পন জয়রমন। পুলিশ গেস্ট অফিসে কিছুক্ষণ থেকে দম্পতির বাড়ি পান্ডা পাড়ায় পৌঁছান। দম্পতির মেয়ে তানিয়ার সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত সৈকত এখনও অধরা। তাঁকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
এদিন কালিয়াপ্পন জয়রমন বলেন, “তদন্ত চলছে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। মৃতের বাড়ি ঘুরে দেখলাম। সৈকত প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা যায় সেটা দেখছি।”
এদিকে মৃত দম্পতির মেয়ে তানিয়া ভট্টাচার্য বলেন, “বাড়ি ঘর দেখে গেল। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানে গেলেন। তবে পুলিশ যদি চায় ২৪ ঘণ্টায় মধ্যেই দোষীকে গ্রেফতার করতে পারে। আর যদি না চায়, ২৪ বছরেও গ্রেফতার করতে পারবে না।”