দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ, সোমবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনায়, বীরভূমে, ঝাড়গ্রামে এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে।
এর পরদিন, অর্থাৎ, ২৮ তারিখ থেকে বৃষ্টি কমবে। ২৯ তারিখ থেকে অনেকটাই বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আজ ও আগামীকাল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২৮ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গে আবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বাড়বে বৃষ্টি।
আগামী পাঁচ দিনে দুই বঙ্গে এই তাপমাত্রা একই থাকবে। একটি নিম্নচাপ ওড়িশা-সংলগ্ন ঝাড়খন্ড এবং ছত্তীসগঢ়ের উপরে তৈরি হচ্ছে। তাই আজও মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৯ তারিখে যখন বৃষ্টির পরিমাণ কমবে তখন তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। কিছুটা অস্বস্তিও তৈরি হবে দক্ষিণবঙ্গে।
সকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রাজ্য জুড়েই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তরবঙ্গে। আপাতত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। বাংলা পেরিয়ে খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে বর্ষা। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাবের বেশিরভাগ অংশে ঢুকে পড়বে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূনাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের এই নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশা উপকূলের দিকে। এই নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরবে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় মৎস্যজীবীদের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তর প্রদেশের উপরও রয়েছে এক ঘূর্ণাবর্ত।
দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আজ ও কাল। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কলকাতাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। বুধবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। এর মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি বেশি হওয়ার আশঙ্কা।