জঙ্গল মহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গেরুয়া ঝড় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ভীমপুর বাজারে একটি নির্বাচনী মিছিলে অংশ নেন তিনি। মিছিলে পা মেলান
হাজার হাজার দলীয় কর্মী ও সমর্থক। মিছিল শেষে একটি নির্বাচনী সভায় যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, পুরো রাজ্যে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে তৃণমূল। তাদের সাথে কেবল গুন্ডা রয়েছে। এই দলের কোনও গণতান্ত্রিক ভিত্তি নেই। আর সেই কারণেই তারা এই সব করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঠিকমতো ভোট হলে তৃণমূল ‘জিরো হবে।” শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলার মানুষ সব বুঝেগেছে, তাই তৃণমূলকে তারা সমূলে উপড়ে ফেলতে প্রস্তুত।
পাটনায় বিরোধীদের সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব করে কিছু হবে না, এটা দুর্নীতিবাজদের সভা। এতে পরিবারতন্ত্র জড়িয়ে রয়েছে। বাংলার প্রতিটি এলাকায় কারচুপি ছাড়া আর কিছু নেই। তিনি বলেন, ২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের সরকার হবে। পিড়াকাটার পদযাত্রার শেষে নিজের গাড়িতে করে রওনা দেওয়ার ঠিক আগে দলীয় কর্মী সমর্থকদের এভাবেই উৎসাহিত করে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী বিমান মাহাতো সহ অন্যান্যরা। ছিলেন দলের জেলা ও মন্ডল নেতৃত্বরাও। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলনেতার জঙ্গলমহলের এই প্রচার কর্মসূচি ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই ছিল উৎসাহ ও উন্মাদনা। তবে এদিন প্রস্তুতি পর্বে অবশ্য কিছুটা তাল কাটে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। প্রস্তুতি চলাকালীন মাইকে হঠাৎ করেই বেজে ওঠে তৃণমূলে নবজোয়ারের গান। কিছুক্ষণের জন্য চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তা বুঝতে পেরে ওই গান বন্ধ করে দেওয়া হয় বিজেপি’র দলীয় নেতৃত্বের তরফে। তাঁরা জানান, এটা নেহাতই যান্ত্রিক ত্রুটি। একইসঙ্গে, ভর্ৎসনা করা হয় মাইক তথা ডেকোরেটরের কর্মীকে। বিষয়টিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
অপরদিক, একে তৃণমূলের ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর জেলা বিজেপির তরফে।