মিশরের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তাঁকে ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’ সম্মানে সম্মানিত করলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল-সিসি। দু’জনের মধ্যে বৈঠকও হয়। তাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা নিয়ে কথা হয় দুই নেতার। দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করারও শপথ নেন মোদী এবং এল-সিসি।
দু’দিনের মিশর সফরে শনিবারই কায়রো পৌঁছেছেন মোদী। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবাওলি। রবিবার মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতে আল-সিসির। আল-সিসির প্রাসাদেই দু’জন মিলিত হন। সেখানেই তাঁকে মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’ প্রদান করেন আল-সিসি। তার পর দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠক হয়।
সুয়েজ খালের তীরবর্তী অংশে ভারতের জন্য এসইজ়েড বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল চায় নয়াদিল্লি। কায়রো তা দিতে রাজি। মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর দুই নেতা এ নিয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করবেন বলে খবর। বাণিজ্যের পাশাপাশি ভূকৌশলগত দিক থেকে এই চুক্তির গুরুত্ব বিরাট। ভূমধ্যসাগর এবং ভারত মহাসাগর, লোহিত সাগরের সংযোগ রক্ষাকারী এই খাল দিয়ে প্রতিদিন ৫ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ভারতে আসে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আল হাকিম মসজিদেও যান। সেখানেও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক। এর পাশাপাশি হেলিওপালিস যুদ্ধস্মারক ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
আল-সিসির সঙ্গে মোদীর বৈঠকে উঠে আসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার অঙ্গীকার। বাণিজ্য, বিনিয়োগের পাশাপাশি কী করে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর এবং মসৃণ করা যায়, বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা করেন মোদী এবং আল-সিসি।