গোটা রাজ্যেই শুক্রবার সম্পূর্ণভাবে পা রাখল মৌসুমী বায়ু।এর জেরে উত্তরবঙ্গে আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তবে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা বাদে উত্তরের বাকি জেলায় ধাপে ধাপে বৃষ্টির তীব্রতা কমবে। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে যেমন বৃষ্টি চলছে, সেরকমই চলবে। সঙ্গে বাজ পড়ার প্রবণতা থাকবে। ২৫ ও ২৬ জুন অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আগামী ৭২ ঘন্টায় আরও ন্যূনতম ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে। তবে কলকাতার ক্ষেত্রে আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। বিক্ষিপ্তভাবে আংশিক কলকাতায় এরকমই বৃষ্টি চলবে।
তবে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে যতক্ষণ না টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড় প্রচুর জলীয় বাষ্প টেনে নেওয়ায় এখনও কিছুটা দুর্বল দক্ষিণের মৌসুমী বায়ু। ফলে শুরুতেই ভারী বৃষ্টি নামাতে ব্যর্থ বর্ষা। অন্যদিকে উত্তরে ভারী বর্ষণ জারি। রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ঝাড়গ্রাম জেলা এবং পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশ বাদে বাকি সর্বত্র ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু। আজ বিকেলের মধ্যে এই ৩ অংশেও বর্ষার প্রবেশ হবে। ক্যানিং থেকে আরও একটু এগিয়ে হলদিয়ার উপর দিয়ে এখন অবস্থান করছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।
গত সাত দিনের মতো শুক্রবারও উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে। আজ ও কাল উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ-সহ প্রায় গোটা রাজ্যজুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বাজ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের সতর্কতা থাকলে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।