আদালতের নির্দেশের পরেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি প্রার্থীরা। কত পুলিশ ছিল, পুলিশ কী করছিল— প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, মনোনয়ন পর্বে গন্ডগোলের ঘটনায় কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানাতে হবে রাজ্যকে। সংশ্লিষ্ট সব থানা এলাকা এবং বিডিও অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিতে হবে পুলিশকে। পুরো ঘটনায় ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। একই সঙ্গে বসিরহাট মহকুমা এলাকার সব থানার ওসিকে সতর্ক করেছে আদালত। বলা হয়েছে, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, কাশীপুরের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া এবং সন্দেশখালিতে বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের পাহারা (এসকর্ট) দিয়ে পুলিশকে মনোনয়নকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিরোধীদের অভিযোগ, আদালতের ওই নির্দেশ মানা হয়নি। পুলিশের কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ‘ছিনতাই’ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ওই সব জায়গায় মনোনয়নকে ঘিরে গোলাগুলি, বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, এত ঘটনা ঘটল, পুলিশ কী করছিল? হাই কোর্টের দু’টি নির্দেশ মানতে তারা কী পদক্ষেপ করেছে তা আদালতকে জানাতে হবে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে পদক্ষেপ না করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।’’