সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অনেকেই।
বিশেষত ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে বারংবার সংঘর্ষবিরোধি চুক্তি লঙ্ঘন থেকে শুরু করে এলওসির মাধ্যমে ভারতে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে মরিয়া চিত্র সামনে আসছিল পাকিস্তানের। তারপরেও হুশ ফেরেনি তাদের।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের এই সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল ভারত এবং ওণযাণয দেশও। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের মাটিতে চলছিল তাদের অবাধ বিচরন। আর রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমাবেশে সরাসরি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দলগুলিকে সহায়তা করা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরাসরি প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন ভারতের প্রতিনিধি বিদিশা মৈত্র।
এবার হরিয়ানার সমাবেশ থেকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কটাক্ষ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মন্তব্য করেন, পাকিস্তান চাইলে সন্ত্রাস দমনে ভারত সাহায্য করতে পারে তাদের, দরকারে সেনাও পাঠাতে পারে। হরিয়ানার কার্নেলের একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি মন্তব্য করেন, পাকিস্তান যদি সত্যি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চায় তাহলে ভারত তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত। হরিয়ানায় ২১ অক্টোবর হওয়া নির্বাচন নিয়ে প্রচারে ব্যস্ত বিজেপি। সেই উপলক্ষে হরিয়াণায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আর সেখানে দাঁড়িয়েই পাকিস্তানকে কটাক্ষের সুরে সন্ত্রাস দমনে প্রস্তাব দিলেন রাজনাথ।
সমাবেশ থেকে তিনি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “আমি শুনেছি তিনি বলেছেন, কাশ্মীরিরা স্বাধীনতা না পাওয়া পর্যন্ত তারা লড়াই করবে ও আন্তর্জাতিক মহলে নালিশ করবে। আমি সাফ জানিয়ে দিতে চাই, ভারত কারও কাছে মাথা নত করবে না। ভারতকে কেউ চাপ দিতে পারবে না। কাশ্মীর নিয়ে কেউ আমাদের জোর করতে পারবে না।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সমাবেশ থেকে পাকিস্তান কে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন, ইসলামাবাদকে তাঁর চিন্তাভাবনা থেকে সরে আসতে হবে। নয়তো পাকিস্তান টুকরো হয়ে যাবে।
সোনপথে হওয়া আর একটি র্যালি থেকে তিনি পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্তব্য করেন, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করে পাকিস্তনের উচিত সৎ ভাবে বাঁচা। আমরা পড়শি দেশ এবং পাকিস্তানের উচিত একজন পড়শির মতই ব্যবহার করা। তারা যদি ঠিকভাবে সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে না পারে তাহলে ভারত কিন্তু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়বে।