পঞ্চায়েত ভোটের স্ট্র্যাটেজি, প্রার্থী নমিনেশান ইত্যাদি নিয়ে যারা দলের সমালোচনা করছে বুঝবেন তারা কখনও এই কাজগুলোর সাথে যুক্ত ছিলনা আর এখনও নেই।
কারণ যারা যুক্ত আছে তাদের কাছে এসব বাতুলতার এখন সময়ই নেই। বস্তুত তাদের নাওয়া খাওয়ারও সময় নেই।
আর যাদের আছে তাদের এসব নিয়ে কোন ধারণাই নেই।
কাজেই এদের কথায় কান না দিয়ে এখন মনোবল যোগান সেইসব কর্মীদের যারা একশো দিনের কাজ পাবেনা জেনেও, আবাস যোজনায় ঘর পাবেনা জেনেও প্রার্থী হচ্ছে চোরের দল তৃণমূলকে জায়গা ছাড়বেনা বলে।
মনে রাখবেন যারা প্রার্থী হচ্ছেন তারা কেউই কয়লা, বালি, পাথরের টাকায় পুষ্ট নন। এরা বেশীর ভাগই দিন মজুর, ভ্যান চালক, সব্জিওলা ইত্যাদি নানা পেশার। তাই অহেতুক সমালোচনা না করে এখন এদের পাশে থাকুন।
আর এরপরেও যাদের মনে হচ্ছে বিজেপি কিছু বুথে বিশেষত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় প্রার্থী দিচ্ছেনা তারা ফেসবুকে পেজ চালান, কারণ দল তো আপনাদের চালাতে হয়না।
পার্টি যদি হাল ছেড়ে দিত তাহলে বিজেপি নমিনেশানে গতকাল অব্দি সবার আগে থাকতনা।
গতকাল অব্দি বিজেপির নমিনেশানের পরিসংখ্যান নিচে দিলাম –
গ্রাম পঞ্চায়েত – ১৭৮৬৯
পঞ্চায়েত সমিতি – ২৫১১
জেলা পরিষদ – ১৩৬।
এর মধ্যে একমাত্র জেলা পরিষদে প্রার্থী দেওয়ায় সিপিএম এগিয়ে আছে, সেটাও আজকে আমাদের অনেক মেকাপ হয়ে যাবে।বাকীগুলিতে অন্য কোন দল আমাদের ধারেকাছেও নেই।
২রা মে, ২০২১-এর পরেও আমাদের কর্মীরা মাটি ছাড়েনি। কিন্তু যারা মনে করছে ফেসবুক আর মাটির লড়াই একই রকম সোজা, তাদের মনে করিয়ে দিই তাদের অনেকের সাইবার ক্রাইম থেকে একটা কল এলেও রাতের ঘুম উড়ে যায়। আগে আপনারা সক্রিয়ভাবে মাটিতে নেমে দল করাটা বরং শুরু করুন।
হ্যা বিজেপি কিছু জায়গায় স্ট্র্যাটেজিক্যালি প্রার্থী দিচ্ছেনা। আর সেই স্ট্র্যাটেজিটা আপনি ফেসবুকে বসে বুঝতে পারবেননা।
আমাদের কর্মীরা আমাদের মেরুদন্ড, আর সেই মেরুদন্ডের জোর এতুটুকুও কমেনি।
দীপ্সশ্য জশ