ভালো দামে বিপ্লব থেকে মানুষ সবই বিক্রি হয়

“ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ”
“ভারত কি বরবাদী তাক জঙ্ঘ রেহেগি”
“তুম কিতনে আফজল মারো গে হার ঘার সে আফজল নিকলে গা”

জে এন ইউ তে এই স্লোগান গুলি এই রাতে দেওয়া হয়েছিল সাথে ডমরুর বোল। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন উমর খালিদ। ঐ রাতের সভা অর্গানাইজের মাথায় ছিল বামপন্থী ছাত্র নেতা কানাইয়া কুমার। এই নাটকগুলো ছিল ২০১৪ পরের। যদিও পরে উনি বাম থেকে ডানে আসার সময় এসি খুলেও নিয়ে আসে।

২০১৯ এর পরে দিল্লির দাঙ্গায় প্রাইম সাসপেক্ট ছিল উমর খালিদ। তার ওপর দেশদ্রোহের মামলা চলছে। এদেরই আরেক সাগরেদ শর্জিল ইমাম নর্থ ইস্ট কে ভারত থেকে আলাদা করার ওপেন থ্রেড দিয়েছিল। চিকেন নেক শিলিগুড়ি করিডরের ডেমোগ্রাফি যেভাবে দিন দিন বদলাচ্ছে তাতে ওটা শুধু থ্রেড নয় বাস্তব তা এখন বোঝা যাচ্ছে।

আফজল গুরু ছিল পার্লামেন্ট অ্যাটাকের মাস্টার মাইন্ড। ফাঁসিতে ঝোলার আগে নিজের দোষ স্বীকারও করে গেছে। একজন সন্ত্রাসবাদী উমরের আইডল। কাশ্মীরের ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী বুরহান ওয়ানি উমরের আইডল। উমরের প্রেমিকা কলকাতার বিখ্যাত অ্যাক্টিভিস্ট (নতুন পেশা অবাক হওয়ার কিছু নেই) বনজ্যোৎস্না লাহিড়ী। সুতরাং মুখোশের আড়াল থেকে যে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে উমরের জন্য স্লোগান হোক কিংবা সুর সেটা যে উঠবেই এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।

এখন ব্যালান্স করা চলছে কোথাও উমরের জন্য রুপম ইসলাম গলা ফাটায় নি,শুধু ন্যায় বিচার চেয়েছে। কিন্তু পুরো বক্তব্য একটা ব্যক্তির মোটিভ কি সেটা বুঝে নিতে অন্তত অসুবিধা হবার কথা না।

আচ্ছা এসব তো দূরের বাজনা, বাড়ির কাছে ছেলেমেয়েগুলো ১০০০ দিনের কাছাকাছি হকের চাকরির জন্য ধর্ণা দিচ্ছে, কেউ কেউ হকের ডিএ র জন্য লড়ছে। পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় ধর্মতলায় কই তখন তো বিপ্লব সুরে ভেসে ওঠে না।

এত এত দুর্নীতি হয়ে যাচ্ছে সিস্টেমে পচন ধরে গেছে আমরা সবাই জানি, কখনো কি দুর্নীতি ফসিলস্ খোঁজার চেষ্টা হয়েছে?

গনতান্ত্রিক উৎসবে প্রত্যেকবার আমরা আমাদের সহনাগরিকদের হারাই কখনো কি নেমেসিস একবারও এসেছে ?

সবগুলোর উত্তর না। কারন শিল্পী সেলিব্রেটি ঘুরিয়ে বলতে গেলে বুদ্ধিজীবীরা শাসকের ছত্রছায়ায় থাকতে ভালোবাসেন বিশেষ করে বাংলার। কারন বছরে একগুচ্ছ কলেজ পোগ্রামের ডিল আছে সরকারি মঞ্চে ডাক পাওয়ার ব্যাপার আছে।

ওনারা সিলেক্টিভ বিপ্লবী, ওনারা লেনিন স্ট্যালিন মার্ক্সের সাথে মা মাটি মানুষের নিবিড় সম্পর্ক কলমে গানে ছন্দে তুলে ধরে স্রোতে ভেসে থাকবেন তবেই না বুদ্ধিজীবী। ওনারাই ঠিক করবেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ললাট ও ভবিষ্যৎ।

আমরা তো সাধারণ মানুষ আমরা সব বুঝি সব জানি তবুও অবুঝ। জেনেও না জানার ভান করি। তাই তো আমরা হোক কলরব শুনে বিপ্লবী সাজি আবার মা মাটি মানুষ শুনেও চাটুকারিতাও করি। ( লিংক ইনবক্সে)

সত্যি কথা বলতে চোখে যা দেখি কানে যা শুনি সবটাই ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু নয়। ভালো দামে বিপ্লব থেকে মানুষ সবই বিক্রি হয়।

সৌভিক সিংহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.