‘মিরাকল’ও ঘটল না আর ভারতের চেনা রোগও সারল না। ব্যাক-টু-ব্যাক আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও ফিনিশিং লাইন টপকাতে পারল না খাতায়-কলমে বিশ্বের এক নম্বর টিম ইন্ডিয়া। কোচ-অধিনায়ক বদলেও ভারতের নিটফল দাঁড়াল সেই একই। কেনিংটন ওভালে টেস্ট বিশ্বযুদ্ধের পঞ্চম তথা শেষ দিনে ভারত মুখ থুবড়ে পড়ল। বাইশ গজে ‘আল্টিমেট টেস্ট’ ওরফে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শেষ হাসি হাসল প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) অস্ট্রেলিয়া। ২০৯ রানে জিতল তারা। খালি হাতেই দেশে ফিরবেন রোহিত শর্মা ( Rohit Sharma) অ্যান্ড কোং। ম্যাচের পর রোহিত জানালেন কেন তাঁদের হারতে হল!
ম্যাচের পর রোহিত বলেন, ‘একটা কঠিন ম্য়াচ ছিল। আমরা টস জিতে শুরুটা ভালো করেছিলাম। এই পরিস্থিতিতে ওদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলাম। প্রথম সেশনে বেশ ভালো বলও করেছিলাম। পরের দিকে আমরা পারিনি ভালো বল করতে। কিন্তু আবারও বলব কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের। বিশেষত ট্র্যাভিস হেড। ও এসে অসাধারণ খেলে দিল। ও আমাদের থেকে ম্যাচ বার করে নিল। আমরা বুঝে গিয়েছিলাম যে, ফিরে আসা কঠিন হবে। আমরা লড়াই করেছি। অস্ট্রেলিয়া দলকে শুভেচ্ছা। আমরা অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেছি। টাইট লাইনে বল করা নিয়েও কথা হয়েছে। কিন্তু কিছুই কাজে আসেনি। এরকমটা হতেই পারে। ১৫০ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পরেও রাহানে ও শার্দূল দারুণ লড়াই করেছে। আমরা ব্যাট হাতে ছাপ রাখতে পারিনি। ব্যাট করার মতোই পিচ ছিল। পাঁচ দিনই পিচ দারুণ ছিল। কিন্তু আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। চার বছর অনেক কঠোর পরিশ্রম করেই দু’টি ফাইনাল খেললাম। আমরা আজ হতাশ। আমরা আরও ভালো খেলব। হেরেও বলব বিগত দুই বছর যা করেছি, তা আমাদের থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। দারুণ চেষ্টা করেছে সবাই মিলে। অনেক প্লেয়ার এতগুলি সিরিজে অংশ নিয়েছে। আমরা মাথা উঁচু করেই পরের চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এভাবেই লড়াই করব।’
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন শেষ দিনে এই রান তোলা মিরাকল ছাড়া সম্ভব হবে না। টি-২০ তে যে রান তাড়া করা সম্ভব, টেস্টে তা কার্যত অসম্ভব। রানের গতি দ্বিগুণ হলে তবেই হারানো যেতে পারে অজিদের। ম্যাচ ড্র হলে সেক্ষেত্রে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যুগ্মভাবে বিজয়ী হত ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সেক্ষেত্রে শেষ দিন উতরে দিতে ওভালে ৪৪৪ রানকে সামনে রেখে টেস্ট ড্র করতে হলে অন্তত ১৩৭ ওভার টিকে থাকতে হবে ভারতকে। না, কিছুই হল না। ২৩৪ রানে শেষ হল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস।