আগে চীন এশিয়া মহাদেশের দেশগুলিকে নিজের চাপে রাখতো। কিন্তু ভারতের উত্থানের সাথে সাথে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু হয়েছে। চীন এখন ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে ফেঁসে গেছে। চীনের রাষ্ট্রপতি ভারতে আসার আগে ইমরান খানের সাথে বৈঠক ককরেছিলেন। তখন পাকিস্তান চীনের রাষ্ট্রপতির ভারত সফর আটকাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে পাকিস্তান অসফল হয় এবং ভারতের কূটনৈতিক জয় হয়। আগে যে চীন সকল দেশকে লাল চোখ দেখতো সেই চীন বর্তমানে ভারতের কূটনীতির সামনে নতমস্তক হয়েছে। চীনের রাজদূত সম্প্রীতি এমন মন্তব্য করেছেন যাতে পাকিস্তান কোনঠাসা হয়ে পড়বে।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ভারতে আসার আগে ভারত থেকে চীনা রাজদূত সান ওয়েংডং বলেন যে ভারত এবং চীন একে অপরের পক্ষে হুমকি নয়। ওয়েংডং তার বিবৃতিতে বলেছেন যে ভারত ও চীন কখনই একে অপরের জন্য বিপদ নয়। উভয় দেশই ঐক্যের জন্য শক্তিশালী শক্তি। এর আগে চীন জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যু তুলেছিল। তখন ভারত জানিয়েছিল, অন্য কোনো দেশ যেন ভারতের বিষয়ে নাক না গলায়। ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে চীনের মধ্যে উন্নয়নের ইস্যুতে ভারত নীতিমালার একটি নতুন সেট নিয়ে এগিয়ে যেতে চলেছে। তিনি বলেন যে চীন ও ভারত বিশ্বের দুটি বড় উন্নয়নশীল দেশ, এইভাবে বিশ্বের অগ্রগতি উভয়ের বন্ধুত্বের উপর নির্ভর করে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন যে শুক্র-শনিবার নরেন্দ্র মোদী-শি জিনপিংয়ের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়িয়ে তুলবে। তিনি বলেছিলেন যে চীন-ভারত কখনই একে অপরের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে না, দুই দেশের একসাথে চলা অনেক দেশের পক্ষে সার্থক প্রমাণিত হতে পারে। চীনা রাজদুতের মন্তব্য পাকিস্তানের জন্য বড়ো ঝটকা হবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ পাকিস্তান চাই না যে, ভারত চীনের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হোক। অন্যদিকে চীনের রাজদূত যা বলেছেন তাতে চীন ও ভারতের উন্নত সম্পর্ক হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে।
জানিয়ে দি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে চীনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং এর দেখা দক্ষিন ভারতের মহাবলীপুরমে হবে। যেখান থেকে এক সময় ভারত চীনকে দমিয়ে রাখতো। মহাবালীপুরম পল্লব রাজবংশের যশগথের প্রতীক, চীনের সাথেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পল্লব রাজবংশের সাম্রাজ্য চীন অবধি পৌঁছেছিল। পল্লব রাজবংশের এই শক্তির পরিপ্রেক্ষিতে চীন আত্মসমর্পণ করেছিল এবং পল্লব সম্রাট নরসীমন ২ কে দক্ষিণ চীনের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। চীন আত্মরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। চীন আশঙ্কা করেছিল যে পল্লব রাজবংশের সেনাবাহিনী চীনের অভ্যন্তরে যে কোনও সময় তার সাম্রাজ্য আক্রমণ করতে পারে।