‘পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষা বিক্রয়যোগ্য পণ্য হতে পারে না’। বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধিতে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, ‘ইচ্ছেমতো টাকায় শিক্ষা বিক্রি হতে পারে না। বেসরকারি স্কুলগুলির উপর রাজ্য়ের নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি’। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বক্তব্য জানাতে চেয়ে এবার মামলায় সওয়াল করার অনুরোধ জানানো হল অ্যাডভোকেট জেনারেলকে। পরবর্তী শুনানি ২১ জুন।
শহরের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে ‘বেলাগাম’ ফি বৃদ্ধি। বেশ কয়েকটি স্কুলের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, ওইসব স্কুলে গত বছর ও এ বছর ফি বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ! মামলাটির শুনানি চলছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে।
এদিন শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ‘বেসরকারি স্কুলে ফি কাঠামো কি হবে তা রাজ্য ঠিক করে দিতে পারে না। কিন্তু কোথাও তো বলা নেই যে, বেসরকারি স্কুলগুলিতে রাজ্যের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ২০১২ সালে আইন অনুযায়ী, ফি বৃদ্ধির জন্য রাজ্যের অনুমোদন নিতে হয়’। তাহলে? হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধিতে রাজ্যে কি কোনও বক্তব্য থাকবে না? এই প্রশ্ন বিবেচনা করেই সমস্যা সুষ্ঠু সমাধান করতে চায় আদালত’।
এর আগে, এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেছিলেন, ‘সব স্কুল ফি বাড়ানোর আগে সরকারের অনুমতি নেয় না। ফলে ফি যে বাড়তে চলেছে, তা জানতে পারে না প্রশাসন’। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘স্কুল মিষ্টির দোকান নয়, ইচ্ছামতো দামবৃদ্ধি হবে’। বস্তুত, কী নিয়মে ফি বৃদ্ধি? সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে জানানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।