বাংলা পুড়ছে। তবে বুধবারের এই অস্বস্তির শেষ নয়। রাজ্যে তাপপ্রবাহের মেয়াদ বাড়ল শুক্রবার পর্যন্ত। রাজ্যকে ঠান্ডা করবে তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। ফলে এ সপ্তাহের শেষপর্যন্ত এই দহনজ্বালা থাকবে। পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হবে কিনা, পরে জানাবে আবহাওয়া দফতর। এই মুহূর্তে রাজ্যে বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। সামান্য বৃষ্টি বলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। সেক্ষেত্রে গরম আরও বাড়বে।
বঙ্গপসাগরে কোনও সিস্টেম নেই। জলীয়বাষ্পের পরিমানও ধাপে ধাপে কমতে শুরু করেছে। ফলে বুধবারের পর থেকে কিছুটা কমবে ঘাম। তবে বাড়বে লু -এর মতো তপ্ত বাতাসের আনাগোনা। ১০ জুন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে। তাপ প্রবাহও চলবে সমানতালে। মঙ্গলবার বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়াতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনার রয়েছে। বাকি জেলাতে চূড়ান্ত অস্বস্তি বজায় থাকবে। এমনকী দার্জিলিং জেলার পার্বত্য এলাকা বাদ দিয়ে সেখানেও চড় চড় করে বাড়বে তাপমাত্রা।
তাহবে কি একটুও বৃষ্টি নেই? আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার কলকাতাতে বৃষ্টি হতে পারে। তাতে খুব একটা লাভ হবে না। ফলে আগামী কয়েকদিন বঙ্গবাসীকে তাপের এই দাপট সহ্য করতে হবে। কেরালায় বর্ষা আসার এখনও সময় হয়নি। আমাদের রাজ্যে তো নয়ই। এবার রাজ্য বর্ষা একটু দেরিতে আসবে। আরব সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। এতে কপাল পুড়েছে বর্ষার।
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এই ঘূর্ণাবর্ত টেনে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের দিকে। ফলে কেরালায় ১ জুনের বদলে ৪ জুন বর্ষা ঢোকার কথা বলা হলেও তা হয়নি। আর কেরলে বর্ষা না ঢুকলে, এ রাজ্যে তা প্রবেশ করতে জুন গড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। সোমবার দিনের তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। কাল রাতের তাপমাত্রাও ছিল অত্যন্ত বেশি ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্প ৮৮ শতাংশ।