রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচলিত নিয়ম হল সরসঙ্ঘচালক প্রতি দুই বছর অন্তর প্রতিটি প্রান্তে সফরে যান। প্রান্ত হল সঙ্ঘের সাংগঠনিক বিভাগ যা প্রশাসনিক বিভাগ রাজ্যের সাথে তুলনীয়। তেমনই এক সফরে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত আজ রাজস্থানের করৌলিতে পৌঁছালেন। সেখানে তিনি হিন্দাউন সিটি, বায়না মার্গে অবস্থিত আদর্শ বিদ্যা মন্দির স্কুলে চলা ‘সংঘ শিক্ষা ভার্গ দ্বিতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে মতবিনিময়ও করেন। তারপর তিনি বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে “দেশের নামে একটি গাছ” প্রকল্পের অধীনে সেই শিবিরে গাছের চারা রোপণও করেন।
সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত ৭ই জুন পর্যন্ত এখানে থাকবেন। এখানে তাঁর পুরো সময় কাটবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। এর পরে, তিনি ৮ই এবং ৯ইজুন উদয়পুরে যাবেন। সেখানে তিনি ৪০বছরের বেশি বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য একটি বিশেষ দ্বিতীয় বছরের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সফরের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। উল্লেখ্য যে সরসঙ্ঘচালক ভারতে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান।
আরএসএস সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত রবিবার রাতে নয়াদিল্লি থেকে পশ্চিম এক্সপ্রেস ট্রেনে রাত ৯টার দিকে হিন্দৌন সিটিতে পৌঁছান। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকেও ভাগবতের আগমন সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। এর আগে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের ‘বিশেষ’ পরিচ্ছন্নতার কাজও করায় রেল প্রশাসন। একই সঙ্গে রেলস্টেশনে আরপিএফ অফিসারদেরও প্রস্তুত থাকতে দেখা যায়।
প্রোটোকল অনুসারে তাকে হিন্দৌন রেলওয়ে স্টেশন থেকে আদর্শ বিদ্যা মন্দির, বায়ানা মার্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে ৪০ বছরের কম বয়সী গোষ্ঠীর জন্য একটি ক্যাম্প চলছে। ২০-২৫ টি গাড়িতে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাঁকে ঘিরে রাখে। হিন্দৌন ক্লাস ক্যাম্পে ভাগবতের আগমনের কর্মসূচির কারণে রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
আরএসএস-এর নিয়মিত ‘সংঘ শিক্ষা বর্গ এর প্রশিক্ষণ শিবির’-এ কর্মীদের শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তিন সপ্তাহ ধরে চলে। এই বছর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশী হওয়াতে দ্বিতীয় বর্ষের আয়োজন করা হচ্ছে হিন্দৌন ও উদয়পুর – এই দুটি জায়গায়। ৪০ বছরের কম বয়সী স্বেচ্ছাসেবকরা হিন্দৌনে এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সী উদয়পুরে অংশগ্রহণ করছে।