ওড়িশার বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শনিবার সকাল ৮টার আগেই তিনি পৌঁছে যান বালেশ্বরে। দুর্ঘটনার এলাকা ঘুরে দেখেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার কারণ খুঁজে বার করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘রাতেই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। একেবারে গোড়ায় গিয়ে এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে রেল। রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব সার্কল) স্বতন্ত্র ভাবে তদন্ত করবেন। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে আমাদের অগ্রাধিকার অন্য।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আপাতত দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজেই জোর দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রাথমিক এবং একমাত্র লক্ষ্য আহতদের যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করা এবং উপযুক্ত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা। কাছাকাছি কটক, কলকাতা, ভুবনেশ্বরের মতো শহর রয়েছে। যেখানে সবচেয়ে ভাল চিকিৎসার সুযোগ থাকবে, সেখানেই সব ব্যবস্থা করা হবে।’’
পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, কী ভাবে এমন ভয়াবহ বিপর্যয়, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে রেলমন্ত্রক। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব সার্কল) এএম চৌধরি এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছেন।
অশ্বিনীকে মৃতের সংখ্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রেলের তরফে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মৃত এবং আহতের সংখ্যা আপনাদের জানানো হচ্ছে। আপাতত সেই পরিসংখ্যান ধরেই চলুন।’’ এখনও পর্যন্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৮৮ এবং আহত অন্তত ৬০০ জন। যদিও, পিটিআইয়ের রিপোর্ট বলছে বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৯০০ জনের বেশি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী জানান, এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। খবর পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু এককালীন ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রেল। গুরুতর আহতদের এককালীন ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প চোট-আঘাত যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।