একটি মন্দিরে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর আহত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার দাসপাড়া সন্ন্যাসীতলা শিব মন্দিরে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে সশস্ত্র কয়েকজন দুষ্কৃতী মন্দিরে গিয়ে কর্তব্যরত দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করে মন্দিরের দুটি দানবাক্স নিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের মারধরে কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর আহত হয়। টাকা পয়সা নিয়ে প্রণামীর বাক্স দুটি মন্দিরের কাছেই ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রীবাস মন্ডল জানিয়েছে, “ঘটনার সময় আমরা কেউ ছিলাম না। পরে ডাকাতির ঘটনা জানতে পারি। এর আগে কোনও দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি এবং প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”
মন্দিরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ৬-৭ জন দুষ্কৃতী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মন্দিরের দানবাক্স নিয়ে যায়। তাদের বাধা দিতে গেলে কর্তব্যরত দুই সিভিক ভলান্টিয়াকে মারধর করে।
অপরদিকে, এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে চোপড়া থানার দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। অবরোধের জেরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের দাবি, দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করা হলে তারা পথ অবরোধ চালিয়ে যাবেন। মন্দির কমিটির সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায় বলেন, মন্দিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা ছিল। তা সত্ত্বেও তাদের মারধর করে দান বাক্স নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমত চিন্তিত তারা। অবিলম্বে দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার না করা হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।