জন্মের পর কেটেছে মাত্র ৭২ ঘণ্টা। ঠিকানা হাসপাতালে কাচের ‘বেবিকট’। তার মধ্যেই মাথা তুলে, হাতে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে এক সদ্যোজাত। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার বাসিন্দা বছর ৩৪-এর সামান্থা মিশেল প্রসববেদনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সঠিক সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই সুস্থ এক কন্যাসন্তানের জন্মও দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত আরও দিন তিনেক পর।
ঘটনার সময়ে কাচের বেবিকটে শুয়ে থাকা শিশুটির পরিচর্যা করতে এসে ওই হাসপাতালের সেবিকা দেখেন, তত ক্ষণে নিজের হাতে ভর দিয়ে গোটা শরীরটাই উল্টে ফেলেছে ওই সদ্যোজাত। সঙ্গে সঙ্গে সামান্থাকে ডেকে সেই দৃশ্য দেখাতে চমকে ওঠেন তিনি। হতচকিত হয়ে গোটা ঘটনাই মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো করতে শুরু করেন তিনি।
সাধারণত ৯ মাস বয়স থেকে শিশুরা হামা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রে যার ব্যতিক্রম হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা বলেন, “প্রথম বার মেয়েকে হামাগুড়ি দিতে দেখে আমি বাক্রুদ্ধ হয়ে যাই। চোখে দেখা তো দূর, জীবনে কোনও দিন এমন ঘটনা শুনিনি। শুধু কি তাই? এক-দেড় বছরের বাচ্চা মুখ দিয়ে যেমন আওয়াজ করে, অবিকল তেমন শব্দ করে কী সব যেন বলার চেষ্টাও করছিল সে। আমি সেই গোটা ঘটনা রেকর্ড করে না রাখলে কেউ বিশ্বাসই করতেন না।”
সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করে সামান্থা নিজের সমাজমাধ্যমে দিতেই আসতে থাকে মন্তব্যের ঝড়। খুদের কাণ্ডকারখানা দেখে এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, “শিশুটি কি হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে?” অন্য এক জনের বক্তব্য, “আপনি এই মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাবেন না, এই মেয়ে আপনাকে বাড়ি নিয়ে যাবে।”