‘গরুচোরকে বাঁচাতে গিয়ে খুন!’ ধানতলায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দুর তোপ পুলিশকে

পুলিশের গাড়িতে পিষ্ট হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে উত্তেজনা অব্যাহত নদিয়ার ধানতলা থানার কুলগাছি-দরাপপুরে। শুক্রবার মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পুলিশ প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘‘ এটা দুর্ঘটনা নয়, খুন।’’ নিহতের পরিবারকে সাহায্যদান করেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

গত সোমবার রাতে গরুচোর সন্দেহে ধানতলার কুলগাছিতে এক জনকে ধরে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীরা। এর পর ধানতলা থানার পুলিশ ওই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে গেলে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাদের। লাঠি, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে তেড়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। আহত হন দু’জন পুলিশকর্মী। অভিযোগ, সেই সময় রাস্তায় থাকা তিন গ্রামবাসীর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় পুলিশ। আহত হন তিন গ্রামবাসী। পুলিশের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে আকাশ রায় নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়।

শুক্রবার ধানতলায় মৃত আকাশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ক্লাস নাইনের একটা বাচ্চাকে পুলিশ চাইলে বাঁচাতে পারত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় পুলিশ জামিনযোগ্য ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে মূল অভিযুক্তকে জামিনও করিয়ে দিয়েছে। এতে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, ওই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে পুলিশ।’’ শুভেন্দুর সংয়োজন, ‘‘দুর্ঘটনা হতে পারে। কিন্তু একটা গরু চোরকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশ দ্রুত পালাতে চায়। এতেই একটি ফুটফুটে ক্লাস নাইনের ছাত্রকে খুন হতে হয়েছে।’’

উল্লেখ্য, পুলিশের গাড়িতে চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হন পুলিশের গাড়ির চালক। ধৃতের নাম তাপস পাল। তাঁর বাড়ি নদিয়ার ধানতলা থানার আড়ংঘাটা যুগল পাড়া এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো এবং অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলার রুজু করে পুলিশ। শুভেন্দুর অভিযোগ, নিজেদের দোষ ঢাকতে জামিনযোগ্য ধারায় মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি মৃতের বাবার উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি আবার আসব। এখানকার প্রশাসনিক লোকজনের সঙ্গে কথা বলব। সুবিচার হবে। গোমাতার পাচারও বন্ধ হবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.