বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন একজন স্বয়ংসেবক
২০২৫ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুসারে শাসক দল পরিবর্তন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। আর এই দৌড়ে সবার আগে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
আর সেইজন্যই বিজেপির পক্ষ থেকে বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। সব পক্ষই চাচ্ছে তাদের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক। কেউ কেউ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে চাইছেন, অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ রাজীব প্রতাপ রুডি নিজেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে তুলে ধরেছেন। এছাড়াও আরো কয়েকজন বিজেপি নেতা নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরতে চলেছেন।
অনেকের ধারণা এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজয় সিনহা আসলে নিজেকেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর দৌড়ে শামিল করেছেন। কারণ আমরা যদি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরীর কথা বলি, তবে তিনি আরএসএস এর স্বয়ংসেবক নন। তিনি আরজেডি থেকে রাজনীতি শুরু করেছিলেন এবং রাবড়ি দেবীর সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। আরএসএসের সঙ্গেও তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
অন্যদিকে বিজয় সিনহা বলেছেন, আরএসএস সংস্কৃতির অধিকারী ব্যক্তিই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি নিজে আরএসএস এর স্বয়ংসেবক ছিলেন। তারপর বিজেপি থেকে বিধায়ক হন এবং তারপর স্পিকার পদ লাভ করেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে জেডিইউ মহাজোটে যোগ দিলে তাকে বিহার বিধানসভার স্পিকার পদ ছাড়তে হয়। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে তিনি শুধু একা নন। যদি আরএসএস সংস্কৃতির একজন ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার কথা বলা ওঠে, তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, বিজয় সিনহা, গিরিরাজ সিং, অশ্বিনী চৌবে, রবিশঙ্কর প্রসাদ, সুশীল মোদী, সঞ্জীব চৌরাসিয়াও এই তালিকায় থাকবেন। তারাও সবাই আরএসএস এর সাথে যুক্ত ছিলেন।
এইক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং মঞ্চ থেকে স্লোগান তুলেছিলেন যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর মতো কারও হওয়া উচিত। একই স্লোগানও শোনা গেছে অনেক জায়গায়। বিজেপিতে ২০২৫ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হবেন সম্রাট চৌধুরী বলে অনেক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এর পরেই কিছু লোক তাদের দাবি তুলে ধরতে শুরু করে।
সৌভিক দত্ত