চিরাচরিত প্রথায় ঘটছে বদল। খড়গপুর থেকে পুরী যাওয়ার পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসছে বা ১২৭০৩ হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদ যাওয়ার ফলকনামা এক্সপ্রেস তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসছে, খড়গপুর স্টেশনে পা রাখলে ট্রেন যাতায়াতের এই চিরাচরিত ঘোষণা আর শোনা যাবে না। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের খড়্গপুর স্টেশন সহ ছটি স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার জন্য ট্রেন যাতায়াতের ঘোষণার ফাঁকেই বাজবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী জিঙ্গলস।
অন্য স্টেশনগুলি হল হিজলী, বালেশ্বর, মেদিনীপুর, দিঘা, পাঁশকুড়া, সাঁতরাগাছি, টিকিয়াপাড়া, শালিমার, আন্দুল, বাউড়িয়া, উলুবেড়িয়া, বাগনান, মেচেদা, ঝাড়গ্রাম এবং ঘাটশিলা। ট্রেনের আসা বা যাওয়ার ঘোষণার আগে এবং পরে ২০ সেকেন্ডের এই বিজ্ঞাপনী জিঙ্গলস বাজানো হবে।
ট্রেন যাতায়াতের এই নতুন আঙ্গিকের ঘোষণার দায়িত্ব পেয়েছে চেন্নাইয়ের নিনজা স্টেশনে পাঁচ বছর মেয়াদি ঘোষণার পর এদের সঙ্গে রেলের ৪৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকার চুক্তি হয়েছে। ট্রেনের পৌঁছনোর সময়, তার তৎকালীন অবস্থান এবং কোচের বিন্যাসও যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
খড়গপুর ডিভিশনে ট্রেন ভাড়া ছাড়াও আয়ের একটি নতুন পথ খুলে গেল। পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণে এই অর্থ খরচ করে যাত্রী পরিষেবাকে আরও উন্নত করা হবে।
খড়্গপুর সিনিয়র ডিসিএম রজেশ কুমার বলেন, ‘উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রয়োগ করে রেলের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এই নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটা ট্রেনযাত্রীদের জন্যও সুবিধাজনক। স্থানীয় কোনও ব্যক্তি নিজস্ব উদ্ভাবনী ক্ষমতা দিয়ে রেলকে সমৃদ্ধশালী করতে চাইলে তারা সরাসরি সিনিয়র ডিসিএম অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’