৩৯টি ‘কস্তুরী’ পড়ে রাস্তায়! শিলিগুড়িতে বৈকুণ্ঠপুরে চাঞ্চল্য, তদন্তে বন বিভাগ

সংশোধনাগারের পিছনে রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তুপের উপর পড়ে কস্তুরী। আর এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাগড়াকোট এলাকায়। পরে বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের কর্মীরা ২টি ব্যাগ থেকে মোট ৩৯টি মৃগনাভি উদ্ধার করেছেন বলে খবর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বাগড়াকোট সংশোধনাগারের পিছনের রাস্তায় ২টি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। ওই প্লাস্টিকের ব্যাগে কস্তুরী বা মৃগনাভির মতো দেখতে কিছু জিনিস পড়ে থাকতে দেখে এলাকার কাউন্সিলরকে খবর দেন তাঁরা। মুহূর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। মৃগনাভি দেখতে ভিড় জমে গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগকে। কোথা থেকে এই কস্তুরী এল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে বন বিভাগ।

এলাকার কাউন্সিলর অভয়া বসু বলেন, ‘‘এলাকার লোকেরাই আমায় খবর পাঠিয়েছিলেন। আমি গিয়ে দেখি, মৃগনাভি বা কস্তুরীর মতো দেখতে লাগছে জিনিসগুলো। বন দফতরকে খবর দেওয়া হলে তারা এগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে এই অঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পশুহত্যা করে তাদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেআইনি ভাবে ব্যবহার করার বিষয়টি গুরুতর।’’ যদিও উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলো সত্যিকারের মৃগনাভি কি না, তা নিয়ে বন দফতর সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এই প্রসঙ্গে ডাবগ্রাম রেঞ্জের রেঞ্জার এসপি চাকলাদার বলেন, ‘‘মৃগনাভি মেলার খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তবে এখনও আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত নই যে, এগুলো আসল মৃগনাভি কি না। তার জন্য জ্যুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াতে পাঠানো হবে। তবে আকার, আকৃতি এই রকমই হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মৃগনাভি সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারের কথা শোনা যায়। এটা সেটাই কি না পরীক্ষা না করে বোঝা যাবে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.