চুরি যাওয়া ৩০টি মোবাইল সহ তিন আন্তর্জাতিক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ শেহবাজ আহমেদ, বাগুইহাটির বাসিন্দা; শাহীন আলী, বাংলাদেশের বাসিন্দা ও শুভদীপ সাহা বনগাঁ পেট্রাপোল এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এক সপ্তাহ আগেই গোপালনগর থানার পুলিশের কাছে গোপন সুত্রে খবর আসে চোরাই মোবাইল বাংলাদেশে যাচ্ছে। সেই মত পুলিশি নজরদারি বাড়িয়েছিল গোপালনগর থানার ওসি চিন্তামণি নস্কর। দুদিন আগে পুলিশের জালে পড়ে যায় মহম্মদ শেহবাজ আহমেদ নামে বাগুইহাটির এক বাসিন্দা। বনগাঁ এলাকা থেকে ৩টি মোবাইল সহ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাংলাদেশের এক দুষ্কৃতীর সন্ধান পায়। ওই বাংলাদেশি শাহীন আলীকে বাগুইহাটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার ভারতীয় টাকা ও বাংলাদেশের টাকা উদ্ধার করে। ধৃত দুই জনকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুভদীপ সাহা নামে বনগাঁর এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুভদীপের বাড়ি ও শেহবাজের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরও ২৭ টি মোবাইল উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এগুলি সবই চুরি করা মোবাইল ফোন। এর একটা র্যাকেট মোবাইল চুরি করে বাংলাদেশে পাচার চালাচ্ছি। গোপালনগর থানার ওসি চিন্তামণি নস্কর দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, এর আগে ৫ বার মোবাইল বাংলাদেশে পাচার করেছে শেহবাজ। বাংলাদেশের বাসিন্দা শাহীন আলী বনগাঁর শুভজিৎ সাহার বাড়িতে এসে থাকত।
এসডিপিও বাগদা স্পর্শা নিলাঙ্গী এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, এই তিন পাচারকারী বিভিন্ন এলাকার চোরাই মোবাইল বাংলাদেশে পাচার করবার কাজে যুক্ত। এদেরকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা দেখা হচ্ছে আরও অন্য কারা এর সঙ্গে যুক্ত আছে কি না। তাবে একের পর এক সাফল্য গোপালনগর থানার ওসি চিন্তামণি নস্করের। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানায় যোগ দিতেই শহর ও গ্রামে দুষ্কৃতীদের দাপট একেবারে বন্ধের মুখে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার কেজি গাঁজা, গরু পাচার, আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিভিন্ন পাচার বন্ধ করেছেন তিনি। থানার ওসির এই সাফল্যে গোপালনগর সহ গোটা মহকুমার মানুষকে পুলিশের উপর আস্থা যুগিয়েছেন চিন্তামণিবাবু, এমনই বলছেন সাধারণ নাগরিকরা।