একুশের বিধানসভায় আশানুরুপ ফল করতে না পারলেও সত্তরটি আসন তাদের দখলে। এবার সেই সাফল্যের উপরে ভর করেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের একবার অ্য়াসিড টেস্ট নামছে গেরুয়া শিবির। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বাংলার রাজনীতি এখন সরগরম। এরকম এক পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে ফের আসছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা। আগামী ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান প্রচার করবেন বিজেপি কর্মকর্তারা।
লোকসভায় ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্র ধরে এগোচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তা করতে গেলে পঞ্চায়েতে ভালো ফল করতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। এমাসের প্রথম কলকাতায় এসে রাজ্য নেতৃত্বকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন অমিত শাহ। তার মধ্য়ে রয়েছে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। জেলায় ঘুরতে হবে আরও বেশি করে। রাজ্য বিজেপি যাই বলুক না কেন, গ্রামেগঞ্জে দলের সংগঠন এখনও ততটা মজবুত নয়। সেই জায়গাটির উপরেই জোর দিয়েছেন শাহ। এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ব্যাপক প্রচার করেছিল বিজেপি। দলের এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন না যিনি রাজ্যে প্রচারে আসেননি। গেরুয়া শিবিরের স্লোগানই ইসবার দো শো পার। কিন্তু ভোটের ফলাফলে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সত্তরেই থামে বিজেপি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের একবার ঝাঁপানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা আমাদের রাজ্যে ৩টি সভা করার প্রস্তাব দিয়েছি। ওইসব সভা হবে উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে। ওই তিন সভায় থাকবেন নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডা ও অমিত শাহ।
মোদী-শাহর সফর নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিছু হলেই রাজ্য নেতাদের উপরে ভরসা করতে পারেনি বিজেপি। তাই ডাক পড়ে মোদী, শাহ, নাড্ডার। তবে বিজেপির এই ত্রিশক্তি যে ডাহা ফেল তা নিয়েও কারও মনে সন্দেহ নেই। এখানে দশ কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে একদিন এসে সাড়ে তিনটি বাড়িতে গিয়ে তা দিয়ে বঙ্গ বিজয় সম্ভব? আসল কথা এদের আসা এটাই প্রমাণ করে এরাজ্যের বিজেপি নেতাদের না আছে সংগঠন, না রয়েছে গ্রহণযোগ্যতা। তাই কথায় কথায় মোদী দেখাতে হয়। ওঁরা আসুন। এসে মিষ্টি দই খেয়ে কিছু মিষ্টি কথা বলবেন, চলে যাবেন। এদের দেখে আমাদের কোনও রিঅ্য়াকশন হয় না।