রাজধানী দিল্লির শাহবাদ ডেয়ারি এলাকায় রবিবার নাবালিকাকে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, রাগের মাথায় নয়, সাহিল খুনের ছক কষা শুরু করেছিলেন ঘটনার তিন দিন আগে থেকে। তদন্তে প্রকাশ, নাবালিকার সঙ্গে তার প্রাক্তন প্রেমিকের সম্পর্ক নতুন করে শুরু হয়েছিল। তাতেই আপত্তি ছিল সাহিলের। সেই আপত্তি থেকেই কুপিয়ে-থেঁতলে খুন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ২০ বছর বয়সি সাহিল নাবালিকার এক বান্ধবীর বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছিলেন। একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নাবালিকা একটি সুলভ শৌচাগার থেকে পোশাক পরিবর্তন করে বেরোয়। নাবালিকাকে দেখতে পেয়েই ছুরি নিয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সাহিল। কুপিয়ে-থেঁতলে খুন করেন নাবালিকাকে। চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটতে দেখেও নির্বিকার পথচারীরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, সাহিল হরিদ্বার থেকে ছুরিটি কিনেছিলেন। কিন্তু কবে এবং কেন তিনি ছুরি কেনেন, তা এখনও জানতে পারেননি তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের দাবি, গত বৃহস্পতিবার সাহিলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল নাবালিকার। সেখানে সাহিল তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন নাবালিকা তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছে? এ কথা নিয়েই দু’জনের মধ্যে একপ্রস্থ বচসা হয়। তখনকার মতো সমস্যা চাপা পড়লেও সাহিলের মনে বৃহস্পতিবারের ঘটনার জন্য রাগ জমছিল। সেই রাগেরই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ রবিবারের নৃশংস ঘটনা। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) দীপেন্দ্র পাঠক বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত একটি ঘটনা। আমরা সে ভাবেই মামলা সাজাচ্ছি যাতে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারি।’’
পুলিশের দাবি, জেরায় সাহিল কবুল করেছেন, ওই নাবালিকার সঙ্গে তাঁর প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি নাবালিকা তাঁকে উপেক্ষা করছিল। সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। সাহিল তাকে বিরক্ত করলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোরও হুমকি দিয়েছিল নাবালিকা। সাহিল পুলিশকে জানিয়েছেন, নাবালিকার সঙ্গে তার প্রাক্তন প্রেমিকের সম্পর্ক নতুন করে পরিণতির দিকে এগোতেই ভাঙনের সূত্রপাত। সেই রাগ থেকেই ছক কষে নাবালিকাকে খুন করে সাহিল।