সকালে ঘুম ভেঙে রীতিমতো তাজ্জব ইটালির ভেনিস শহরের বাসিন্দারা। ঘুম ভাঙার পরে তাঁরা দেখেন, শহরের কেন্দ্রীয় জলপথটির রং সবুজ হয়ে গিয়েছে! রীতিমতো ‘ফ্লুরোসেন্ট গ্রিন’! সহসা সবুজ রঙের জল দেখে শহরবাসীরা ধাঁধায় পড়ে যান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত জলের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্তও শুরু করে। ঘটনাটি ঘটেছে একদিন আগে।
ভেনিসের বিখ্যাত রিয়ালটো ব্রিজের আশপাশের জলের রং পরিবর্তনের এই ঘটনায় মূলত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়, পরিবেশকর্মীরা বোধ হয় তাঁদের প্রতিবাদ-আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্যানালের জলে সবুজ রং ছড়িয়ে দিয়েছেন! এ বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, স্থানীয় পুলিস সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে সর্বাঙ্গীন তদন্তও করা হবে। বিষয়টি সব দিক থেকেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনেকে স্মৃতিচারণ করছেন, ভেনিসের এই ঘটনাটি ১৯৬৮ সালেরই একই ধরনের একটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই বছর আর্জেন্টাইন শিল্পী নিকোলাস গার্সিয়া উরিবুরু পরিবেশগত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গ্র্যান্ড ক্যানালের জলে রঞ্জক ছড়িয়ে দিয়েছিলেন!
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিজওনাল এজেন্সি ফর এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশনের তরফে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিশ্লেষণে ইঙ্গিত মিলছে, সম্ভবত কোনও ফ্লুরোসেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, যে কারণে ক্যানালের জল এমন রং ধারণ করে। কিন্তু কে বা কারা এবং কেন তা ছড়িয়েছিলেন, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
কখনও কখনও জলের গতিপথ চিহ্নিত করতে ফ্লুরোসেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে তা ক্ষতিকর কিছু নয়। তবে এবার জলে যা মেশানো হয়েছে, তা ক্ষতিকর কিনা তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে রিজওনাল এজেন্সি ফর এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন জানিয়েছে, এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে জলে রং মেশানোর বিষয়টি নিছক একটি ঘটনা! কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই খালের জলে এত পরিমাণ ফ্লুরোসেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হল কেন! নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য আছে। আর সেটাই খুঁজে বের করতে হবে।