ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বছর পঁচিশের যুবক। বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠেই নিখোঁজ হয় বালুরঘাটের ডাকবাংলো পাড়া এলাকার বাসিন্দা সুরজিত ভৌমিক। প্রায় ছ’মাস আগে পুনে থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে উঠেছিল সে। তারপর থেকেই সুরজিতের আর কোনো খোঁজ পায়নি তার পরিবার।
এদিকে একমাত্র ছেলের এমন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে অসহায় মায়ের। ছেলে বাড়ি ফিরবে এই আশায় আজও পথ চেয়ে বসে রয়েছেন মা শর্মিলা ভৌমিক।
বালুরঘাটের ডাকবাংলো পাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় পুরসভার অস্থায়ী কর্মী শর্মিলা ভৌমিক। অসুস্থতাজনিত কারণে প্রায় আট বছর আগে স্বামী বিশ্বজিৎ
ভৌমিককে তিনি হারান। এরপর থেকে একমাত্র ছেলে সুরজিতকে সঙ্গে নিয়েই দিন কাটছিল শর্মিলা দেবীর। কিন্তু রোজগারের ভয়ঙ্কর নেশা সুরজিতকে প্রথমে মুম্বাই এবং তারপরে বিহারে নিয়ে গিয়েছিল। যেখানে বেশ কয়েকবছর কাজ করবার পরেই পুনে গিয়েছিল সে। সেখান থেকেই ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ হাওড়াগামী ট্রেনে উঠেছিল সুরজিত। যে ভিডিও তার মাকে পাঠিয়েছিল সেখানে থাকা তার এক বন্ধু। এরপর থেকেই ছেলের আর কোনো খোঁজ পায়নি মা শর্মিলা। মোবাইল ফোন না থাকায় তার সাথে আর কোনো প্রকার যোগাযোগও করতে পারেনি তার পরিবারের লোকেরা।
যদিও ঘটনার তিনদিন পরেই স্থানীয় বালুরঘাট থানায় ছেলের নিখোঁজের ডায়েরি করেছেন মা শর্মিলা ভৌমিক। যারপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ঘরের বাইরে ছেলের ছবি নিয়ে রাস্তার দিকে চেয়ে বসে থাকেন অসহায় মা। হয়তো বাড়ি ফিরবে ছেলে এই আশায় আজও দিন গুনছেন মা। ঘটনা জানতে চাইতেই মা শর্মিলা ভৌমিকের দু’চোখ বেয়ে বেরিয়ে এল জল। প্রশ্ন তুললেন কোথায় গেল আমার ছেলে? একটু খুঁজে দিন আপনারা।
মা শর্মিলা ভৌমিক বলেন, ছেলেকে নিয়ে একাকী সংসার তার। কাজের জন্য ভিন রাজ্যে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে উঠে রহস্যজনক ভাবে হারিয়ে যায় সুরজিত। আজও আশায় রাস্তার দিকে চেয়ে বসে রয়েছেন, হয়তো ছেলে বাড়ি ফিরবে।
বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাবার পরেই সমস্ত থানায় সে তথ্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।