দু’জনে একই সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন। ওপেনও করতে নামতেন একইসঙ্গে। ছোটদের বিশ্বকাপ জিতেই দরজা খুলে যায় জাতীয় দলের। প্রথম জন অধিনায়ক ছিলেন, দ্বিতীয় জন তাঁর অধীনে খেলেছেন। তার পর থেকে পৃথ্বী শয়ের জীবন যতটা নীচের দিকে নেমেছে, ততটাই উপরে উঠে এসেছেন শুভমন গিল। পৃথ্বীর খারাপ ছন্দ দেখে এ বার তাঁকে শুভমনের থেকে শিখতে বললেন কারসন ঘাউড়ি।
চলতি আইপিএলে আটটি ম্যাচে মাত্র ১০৬ রান করেছেন পৃথ্বী। খারাপ ছন্দের কারণে দল থেকে বাদও পড়েছেন। অন্য দিকে, শুভমন এখনই ৮৫১ রান করে ফেলেছেন। তিনটি শতরান রয়েছে। আইপিএলের কমলা টুপি পাকা। ঘাউড়ির মতে, শুভমন নিজের ব্যাটিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন। পৃথ্বী সেটা করেননি।
এক ওয়েবসাইটে ঘাউড়ি বলেছেন, “২০১৮-র অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ওরা একই দলে ছিল। দেখুন আজ পৃথ্বী কোথায় আর শুভমন কোথায়। ওরা দুটো আলাদা দিকে চলে গিয়েছে। পৃথ্বী মনে করে ও তারকা এবং কেউ ওকে ছুঁতে পারবে না। কিন্তু ওকে বুঝতে হবে যে তুমি টি-টোয়েন্টি, এক দিনের ক্রিকেট বা টেস্ট, এমনকি রঞ্জি ট্রফি, যা-ই খেলো না কেন, আউট হতে স্রেফ একটা বল লাগে।”
ঘাউড়ির সংযোজন, “ক্রিকেট খেলতে গেলে শৃঙ্খলা এবং সঠিক মানসিকতার প্রয়োজন। নিজেকে নিয়ে পড়ে থাকতে হবে। ক্রিজ কামড়ে থাকার মানসিকতা দরকার। তা হলেই রান আসবে।”
ছন্দে ফিরতে শুভমনের থেকে পৃথ্বী পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঘাউড়ি। বলেছেন, “ওদের বয়স একই। কিছুই হারায়নি। শুভমন নিজের খুঁত নিয়ে কাজ করেছে। পৃথ্বী সেটা করেনি। কিন্তু এখনও করার সময় আছে। ওকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। শুভমনকে দেখে শিখতে হবে। না হলে প্রতিভা থেকেও কোনও লাভ হবে না।”