বিজেপি ফোবিয়া হয়েছে তৃণমূলের! ভয় পেলেই পিসি ভাইপো জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন, অভিষেককে পাল্টা দিলেন সুকান্ত

নিজের কনভয়ে হামলার ঘটনায় ঘুর পথে হলেও বিজেপিকেই নিশানা করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তার দাবি কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে বিজেপি এই হামলা চালিয়েছে। কারণ হামলার সময় তিনি জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পেয়েছিলেন। অভিষেকের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভয় পেলেই এখন অভিষেক ও তার পিসি জয় শ্রীরাম শুনতে পাচ্ছেন। ওদের বিজেপি ও জয় শ্রীরাম ফোবিয়া হয়ে গেছে।

শনিবার বিজেপির একটি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় বীরভূমের তারাপীঠে। সেখানে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পৌঁছান সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। সকাল বেলার প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে মা তারার পুজো দেন উভয়েই। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত শুক্রবার রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল চাইছে আদিবাসী ও কুড়মি সমাজের মধ্যে লড়াই তৈরি করে দিতে। নিজেরা করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া তৃণমূলের স্বভাব। আমরা হিংসায় বিশ্বাস করি না। সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।”

প্রসঙ্গত কুড়মি সমাজের হামলার পেছনে পরোক্ষভাবে বিজেপির হাত রয়েছে বলে সরাসরি লোধাশুলির সভা থেকে অভিযোগ করেছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, আদিবাসী কুড়মি সমাজের নাম করে বিজেপি পিছন থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আড়াল থেকে বিজেপি এই ঘটনায় মদত দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন কুড়মি আন্দোলনকারীদের মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি কেন? যদিও রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, কুড়মিরাই হামলা করেছে।

এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পিসি এদের দুজনের কানে জয় শ্রীরাম বাজে। এখন যেখানে সেখানে জয় শ্রীরাম শুনতে পাচ্ছেন। আসলে ওদের বিজেপি ফোবিয়া হয়ে গিয়েছে। জয় শ্রীরাম ফোবিয়া হয়ে গিয়েছে। যেখানেই ভয় পান সেখানে জয় শ্রীরাম শুনতে পান।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ঝাড়গ্রাম থেকে যখন লোধাশুলির পথে স্থানীয় গড় এলাকায় রাস্তার পাশে জমায়েত করেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। অভিষেকের কনভয় আসতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশি নিরাপত্তায় দ্রুত বের করে নিয়ে যাওয়া হয় অভিষেককে। কিছুটা দূরে গিয়ে গাড়ি থেকে হাঁটতে শুরু করেন অভিষেক। তখনও বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। এদিকে অভিষেকের পিছনে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। মন্ত্রীর গাড়িতেও ভাঙ্গচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.