২৬ এপ্রিল গভীর রাতে কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে মৃত্যুঞ্জয় বর্মন গুলিকাণ্ডের পরে আবারও কাঠগড়ায় পুলিস। এবার ২৬ মে গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলদিঘি গ্রামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকা এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পুলিসের বিরুদ্ধে। পুলিসের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
মৃতের নাম ওসমান আলি। বয়স ৫২ বছর। বাড়ি বেলদিঘি গ্রামে। অভিযোগ, বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলদিঘি গ্রামে ওসমান আলি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায়, তাকে পুলিস গ্রেফতার করতে যায়। পুলিসকে দেখে পালিয়ে যায় ওসমান। পুলিসও তাড়া করে তাকে। পরে রাতে আবার পুলিস ওই বাড়িতে ফিরে আসলেও, রাতে আর বাড়ি ফেরেনি ওসমান আলি।
এরপর শনিবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ওই গ্রামেরই একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে। পরিবারের দাবি, পুলিসই পিটিয়ে মেরেছে ওই ব্যক্তিকে। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে। বেলদিঘি গ্রামে বসানো হয়েছে প্রচুর পুলিশ পিকেট। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন রায়গঞ্জ পুলিস জেলার পুলিসের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
তবে পুলিসের তদন্তে ভরসা নেই পরিবারের। তারা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। পরিবারের লোকেদের দাবি, ভুট্টাক্ষেতে যত্রতত্র রক্ত থাকায় এবং পুলিস-ই তাকে ধাওয়া করায়, পুলিস-ই তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। তবে পুলিসের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই স্পর্শকাতর বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি পুলিস। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরই পুলিস তাদের বক্তব্য জানাবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের একটি পুরনো মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সেই জন্যই পুলিস তাকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল। পুলিসকে দেখেই ওসমান পালিয়ে যায়। ফিরে আসে পুলিস। অন্যদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার দাবি করেছেন, পুলিসের হাতে একের পর এক নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারকে এবার পরিত্যাগ করবে বাংলার মানুষ।