নিখোঁজ পুরোহিতের দেহ উদ্ধার, তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

নবমীর রাত থেকে নিখোঁজ পুরোহিতের দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নদীয়ায় শান্তিপুরে। মৃত পুরোহিতের নাম সুপ্রিয় ব্যানার্জী (৪৫)। পুলিশের গাফিলতির কারণেই এই খুন বলে অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শান্তিপুর বাগ আচড়া রোড অবরোধ করে স্থানীয় মানুষজন। দেহ উদ্ধার করতে এলে পুলিশকে আটকে রেখে বিক্ষোভ করে স্থানীয় মানুষজন।

নদীয়ার শান্তিপুর থানার বাগ আচড়া পঞ্চায়েতের বাগদেবী তলার বাসিন্দা পেশায় পুরোহিত সুপ্রিয় ব্যানার্জী।

পরিবারের অভিযোগ, নবমীর রাতে পুজো শেষে বাড়ী থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান সুপ্রিয় বাবু। অভিযোগ, দশমীর সকালে পরিবারের সদস্যরা সুপ্রিয় বাবুর খোঁজ নিতে গিয়ে পাশের গ্রাম লক্ষীনাথপুরে সুপ্রিয় বাবুর স্কুটি দেখতে পান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিবারের লোক জানতে পারে ওই এলাকার কয়েক জনের সাথে নবমীর রাতে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সুপ্রিয় বাবুর। অভিযোগ, এর পরই দশমীর দিন শান্তিপুর থানায় ওই গন্ডগোলের কথা জানিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন পুরোহিতের পরিবার। অভিযোগ, নিখোঁজ ডায়েরি করার পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বাগদেবী তলার একটি জলাশয়ের ভিতর থেকে সুপ্রিয় বাবুর দেহ দেখতে পায় স্থানীয় মানুষজন। পরে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে শান্তিপুর থানার পুলিশকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় মানুষজন।

কুকুর না এনে মৃতদেহ তোলা যাবেনা এই দাবি জানিয়ে শান্তিপুর বাগ আছড়া রাজ্য সড়ক অবরোধও করে স্থানীয় মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রানাঘাটের এসডিপিও। তাতেও হয়নি সুরাহা।

দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবি জানিয়ে পুলিশকে আটকে অবরোধ চলানো হয়। সূত্রের খবর, পুজোর আগে বেশ বড় রাশির টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছিলেন সুপ্রিয় বাবু। সেই টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে খুন নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.