এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে, পাসও করেছে। কিন্তু নার্স হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল কালিয়াগঞ্জের সেই নাবালিকা! গ্রামে বিষাদের সুর।
ঘটনাটি ঠিক কী? গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা এলাকায় বাড়ির কাছেই পুকুর পাড়ে পাওয়া যায় এক কিশোরীর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগের দিন থেকে নিখোঁজ ছিল সে। অভিযোগ, ধর্ষণ করার পর ওই কিশোরীকে খুন করেছে পাশের গ্রামের এক যুবক ও তাঁর সঙ্গীরা। এরপর দফায় দফায় বিক্ষোভ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নিহত কিশোরীর পরিবারের লোকেরা। আদালতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান তাঁরা। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ‘নির্যাতনে’ সিট গঠন করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ‘আদালতের নজরদারিতে চলবে তদন্ত। তদন্ত চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মত প্রকাশ করতে পারবেন না সিটের সদস্যরা। প্রয়োজন মনে করলে সিট দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে পারবে’।
এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্তি। গ্রামেই সমাধিস্থ করা হয়েছে ওই নাবালিকা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। বুধবার সেই পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পাস করেছে ওই নাবালিকা। তার প্রাপ্ত নম্বর ২৪৩। উচ্ছ্বাস তো নেই-ই, বরং মেয়ের পাশের খবরে আরও বেশি শোকে ডুবেছেন পরিবারের লোকেরা। সঙ্গে গ্রামবাসীরা।