রাজ্য সরকার কেন্দ্রের চেয়ে বেশি ছুটি দেয়। গত মার্চ মাসে বর্ধিত ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে এমনটাই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো আলাদা রাজ্যের থেকে। আর কেন্দ্রের সরকার কত দিন ছুটি দেয়? আমরা দুর্গাপুজোয় দশ দিন ছুটি দিই। ছট পুজোয় ছুটি দিই।’’ সেই আবহেই আগামী বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
তবে এটা প্রথম নয়, আগেও জামাইষষ্ঠীতে ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। ২০২১ সালে পূর্ণদিবস ছুটি দিয়েছিল রাজ্য। তবে এ বার দুপুর ২টো পর্যন্ত সব সরকারি দফতর খোলা থাকবে। নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়ন্ত্রণে যে সব রাজ্য সরকারি অফিস শহুরে ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান কর্পোরেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর পরে বন্ধ থাকবে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে টিফিনের সময়ে দফতরের বাইরে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, টিফিন ব্রেকে দফতরের বাইরে যেতে পারবেন না কর্মীরা। কর্মচারীরা যাতে কোনও রকম ঝুটঝামেলায় না জড়িয়ে পড়েন, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। এই নিয়ম লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীকে ওই দিনের জন্য অনুপস্থিত হিসাবে চিহ্নিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে জামাইষষ্ঠীর দিন সেই চাপ নেই। সে দিন কেউ জামাই হোক বা না হোক, টিফিন ব্রেকের সময়েই বাড়ির পথ ধরা যাবে।