তৃণমূলের নেতা ও তাদের বান্ধবীদের খাটের তলায় টাকার পাহাড়। তাই ২০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি। ২০০০ টাকার নোট বাতিলের বিরোধিতা করায় এইভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেছেন, ২০০০ টাকার নোট লাগে টাকা লুকাতে তাই মুখ্যমন্ত্রীর এত জ্বালা।
সুকান্তবাবু বলেন, এগুলো নীতিগত সিদ্ধান্ত। সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যৌথভাবে এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে বড় নোট যত থাকে তত জাল নোটের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই ২০০০ এর নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিরোধিতা করছেন কারণ তার দলের প্রচুর টাকা।২০০০ টাকার নোটে রাখা আছে। অর্পিতার খাটের তলায় যেমন ছিল, আরো অনেক নেতার ও তাদের বান্ধবীদের খাটের তলায় এরকম আছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী খুব চিন্তায় পড়ে গেছেন ২০০০ টাকা গুলোর কি হবে?
তিনি জানান, “এবার থেকে ২০০০ টাকার নোট জমা দিতে গেলে পরিচয় পত্র দেখাতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে কোনো ২০০০ টাকার নোট নেই। আমার পার্সে এখন কোনো ২ হাজার টাকার নোট নেই।”
অন্যদিকে অধীর চৌধুরীও একই সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, সাধারণ গরিব মানুষের ২০০০ টাকার প্রয়োজন পড়ে না। তাদের ছোট নোটের প্রয়োজন হয়।২০০০ টাকার নোটের প্রয়োজন পরে কাদের? যাদের টাকা লুকোতে হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে টুইট করে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে তুঘলকি বলে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, আরো একবার কেন্দ্রের তুঘলকি এবং খামখেয়ালির নোটবন্দির নাটক। ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারেই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে। চুড়ান্ত হেনস্তার শিকার হবেন সকলে।
শুক্রবার বিকেলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে দেশের সমস্ত দু’ হাজার টাকার নোটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ৩৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। নিজের অ্যাকাউন্টে যত খুশি ও অন্যের অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকার নোট একেবারে জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।