রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস এখন শুধু এই দুই দলের ম্যাচ নয়। আইপিএলে এই দুই দল মুখোমুখি হওয়া মানেই বিরাট কোহলি বনাম গৌতম গম্ভীর। দু’বার তাঁদের মাঠে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে। শেষ বার তা প্রায় হাতাহাতির পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল। শুধু এ বার নয়, আইপিএলে আগেও একাধিক বার বিরাট এবং গম্ভীরকে মধ্যে তর্কাতর্কি করতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা প্রায় ‘চিরশত্রু’ হয়ে গিয়েছেন। আইপিএলের লিগ টেবিলের যা পরিস্থিতি তাতে আরও এক বার মুখোমুখি হতে পারেন দিল্লির এই দুই ক্রিকেটার।
গুজরাত টাইটান্স ইতিমধ্যেই আইপিএলের প্লে-অফে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছিটকে গিয়েছে। বাকি সাত দলের সুযোগ রয়েছে প্লে-অফে ওঠার। এর মধ্যে বেঙ্গালুরু এবং লখনউয়ের সম্ভাবনা প্রায় সমান সমান। এই দুই দল যদি প্লে-অফে পৌঁছে যায় তা হলে আরও এক বার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক প্লে-অফে উঠতে গেলে দুই দলকে কী করতে হবে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস
১৩টি ম্যাচ খেলে লখনউ পেয়েছে ১৫ পয়েন্ট। তাদের শেষ ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। ইডেনে সেই ম্যাচ জিতলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে ওঠার সুযোগ অনেকটাই বাড়িয়ে নেবে লখনউ। এই মুহূর্তে তিন নম্বরে রয়েছে গম্ভীরের দল। চেন্নাই সুপার কিংসেরও ১৩ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলও ১৭ পয়েন্টে পৌঁছে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে নেট রানরেটের বিচারে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান নির্ধারিত হবে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট বিরাটদের। শেষ দু’টি ম্যাচ বাকি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। এই দু’টি ম্যাচে জিতলে ১৬ পয়েন্টে শেষ করবেন বিরাটরা। সে ক্ষেত্রে চতুর্থ স্থান পেতে পারে বেঙ্গালুরু। কিন্তু লখনউ যদি নিজেদের ম্যাচ হেরেও প্লে-অফের দরজা খুলে ফেলতে পারে, তা হলে বেঙ্গালুরুর কাছে সুযোগ রয়েছে তৃতীয় স্থানে শেষ করার।
আইপিএলের প্লে-অফে লিগ টেবিলে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা দুই দল মুখোমুখি হয়। তিন এবং চার খেলে এলিমিনেটর। লখনউ এবং বেঙ্গালুরুর এলিমিনেটরে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি লখনউ দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে এবং বেঙ্গালুরু তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে তা হলে এলিমিনেটরে দেখা হবে না তাদের। সে ক্ষেত্রে প্লে-অফে নিজেদের সব ম্যাচ জিতলে ফাইনালে দেখা হতে পারে বিরাট এবং গম্ভীরের।